বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সরকারি কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজের ও হাতির মূর্তি স্থাপন নিয়ে মায়াবতীর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পেশ করেছিলেন রবি কান্ত নামে এক আইনজীবী। দীর্ঘ সময় পর এদিন এই ইস্যুতে ফের শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। আর তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের এই কড়া পর্যবেক্ষণ। মায়াবতীর বিরুদ্ধে করা ওই আবেদনে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার ও নিজের মূর্তি বানানোর জন্য জনগণের টাকা খরচ করা যায় না। মামলাটির শুনানি চালানো প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও সঞ্জীব খান্না। জনগণের এই টাকা মায়াবতীকে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে বলে বেঞ্চের তরফে এদিন প্রাথমিক মত দেওয়া হয়। পাশাপাশি বেঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ২ এপ্রিল।
২০০৯ সালের ওই আবেদন নিয়ে এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বহু অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে। সেসময় পরিবেশগত উদ্বেগের বিষয়টিও উঠেছিল। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিয়ে নির্দেশ জারি করেছিল নির্বাচন কমিশনও। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, পার্কগুলিতে স্থাপন করা হাতির মূর্তি ভোটের সময় ঢেকে রাখতে হবে। কারণ হাতি হল মায়াবতীর দলীয় প্রতীক। এবার এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মূর্তি নির্মাণের জন্য খরচ হওয়া কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হতে পারে বিএসপি সুপ্রিমোকে।
মূর্তি নির্মাণের ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট মায়াবতীকে ধাক্কা দেওয়ার পর এদিন এবিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন অখিলেশ যাদব। লোকসভা নির্বাচনে মায়াবতীর দলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই জোটের ঘোষণা করেছেন সমাজবাদী পার্টির এই নেতা। সুপ্রিম কোর্টের মত সামনে আসার পর অখিলেশ এদিন বলেন, এবিষয়ে আমার কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই। আদালত হয়তো কিছু পর্যবেক্ষণ করেছে। বিএসপির আইনজীবীরা আদালতের তাঁদের বক্তব্য পেশ করবেন।