পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, লালকেল্লার মধ্যে নেতাজির নামে ওই সংগ্রহশালায় সুভষচন্দ্র বসুর ব্যবহৃত নানা দুর্লভ সামগ্রী সাধারণ দর্শকদের জন্য তুলে ধরা হবে। থাকবে নেতাজির ব্যবহৃত কাঠের চেয়ার এবং তলোয়ার। এছাড়া পদক, নেতাজির ব্যবহার করা ইউনিফর্ম এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের বিভিন্ন সামগ্রীও থাকবে।
লালকেল্লার মধ্যে নেতাজি সংগ্রহশালা তৈরিতে গত ২১ অক্টোবর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মোদি। আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষেই ছিল ওই আয়োজন। নেতাজি এবং তাঁর আজাদ হিন্দ সরকারকে সম্মান জানাতে নজিরবিহীনভাবে লালকেল্লায় তোলা হয়েছিল জাতীয় পতাকা। নেতাজির নামে একটি জাতীয় পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছিলেন মোদি। সরকার বিবৃতি দিয়ে জনিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শ এবং ভাবনাকে সম্মান করতেই সরকারের এই উদ্যোগ। যে উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামীকাল উদ্বোধন হতে চলা নেতাজির সংগ্রহশালাই নয়, গত ৩০ ডিসেম্বর আন্দামান নিকোবরেও বিশেষ অনুষ্ঠান করেছেন নরেন্দ্র মোদি। রস আইল্যান্ডকে নামকরণ করা হয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নামে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, নেতাজির প্রতি সম্মান জানাতে সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের অনুরোধ মতো কেন্দ্রের হাতে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত গোপন ফাইল প্রকাশও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা এখন ন্যাশনাল আর্কাইভে রয়েছে। রয়েছে ডিজিটাল ফর্মেও। তাই ভিত্তিপ্রস্তরের সময়ই যে সংগ্রহশালা তৈরির কথা বলা হয়েছিল, সময়মতো তা আগামীকাল নেতাজির জন্মদিনে লালকেল্লায় উদ্বোধন হতে চলেছে। ওই সংগ্রহশালার উদ্বোধন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লার জালিওয়ানালাবাগ এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সংগ্রহশালা ‘ইয়াদ-এ-জালিওয়ান’ সংগ্রহশালা ঘুরে দেখবেন। দেখবেন সিপাহী বিদ্রোহ সংক্রান্ত সংগ্রহশালাও। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে লালকেল্লার এই সংগ্রহশালার উদ্বোধন এবং পরিদর্শন করে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন মোদি।