রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গঙ্গোত্রীর থেকে বেশি উঁচু ও ছোট হওয়াতেই চতুরঙ্গী জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়েছে বলেই গবেষণায় প্রকাশ। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত গঙ্গোত্রী হিমবাহের সঙ্গে যুক্ত ছিল চতুরঙ্গী। বর্তমানে সেটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর গঙ্গোত্রী থেকে প্রায় ২২.৮ মিটার দূরে সরে যাচ্ছে চতুরঙ্গী। গবেষণা বলছে, ২০০৮ সালেই গঙ্গোত্রী হিমবাহ গলে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু তার গতি চতুরঙ্গীর থেকে অনেকটাই কম বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। বছরে ৯-১২ মিটার ছোট হয়ে যাচ্ছে গঙ্গোত্রী। একই উচ্চতায় থাকা অন্য হিমবাহগুলিও এর থেকে দ্রুত গতিতে গলছে বলেই জানিয়েছেন গবেষক হরিশ বিস্ত। এর জেরে গঙ্গায় জলপ্রবাহ বেড়ে গিয়ে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইআইএসসি-র গবেষক প্রকাশচন্দ্র আর্যের মতে, ‘গঙ্গোত্রীর অনেকগুলি উপহিমবাহের মধ্যে প্রধান হল চতুরঙ্গী ও রক্তবরণ। দুই হিমবাহই অত্যন্ত দ্রুত হারে গলছে। ভবিষ্যতে এদের অস্তিত্ব থাকবে না। হিমালয়ের অন্যান্য বড় হিমবাহগুলি এদের তুলনায় আস্তে গলছে। হিমবাহগুলির গলা জলের কারণে গঙ্গার জলস্তর নিশ্চিতভাবে বাড়বে।
নাসার ল্যান্ড ইউজ ল্যান্ড কভার চেঞ্জ প্রোগ্রামের তরফেও হিমবাহগুলির গলে যাওয়া নিয়ে বিপদ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে হিমালয় থেকে উত্পন্ন নদীগুলিতে জল সরবরাহ সঙ্কটে পড়বে বলেই দাবি করেছে তারা। যা হলে গোটা গাঙ্গেয় উপত্যকার চাষাবাদের চরম ক্ষতি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। ইসরো’র ওয়েব ম্যাপিং সার্ভিস ‘ভুবন’-এর তথ্য বলছে, হিমালয়ের ২,১৯০টির মধ্যে প্রায় ৭৬ শতাংশ হিমবাহের বরফাবৃত এলাকা কমে গিয়েছে। ছোট ছোট হিমবাহগুলি এভাবে গলতে থাকলে গঙ্গায় জলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন আইআইটি খড়্গপুরের হাইড্রোজিওলজির অধ্যাপক অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়ও।