বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব মতো পশ্চিমবঙ্গে এক কোটি ১২ লক্ষ পরিবার আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবে। যার মধ্যে গ্রামীণ পরিবারের সংখ্যা ৯৬ লক্ষ ২৪ হাজার। শহরের প্রায় ১৪ লক্ষ। এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গরিবদের জন্য ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নামে প্রকল্প চালালেও আয়ুষ্মান ভারত তথা ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’র সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, কার্ডটির পোর্টেবিলিটি। অর্থাৎ আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড যার কাছে থাকবে, সেই ব্যক্তি/পরিবার কেবল নির্দিষ্ট কোনও রাজ্যে নয়, দেশের যেকোনও জায়গায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও পাবেন বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা।
কিন্তু আয়ুষ্মান ভারতের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে প্রচারমূলক চিঠি রাজ্যে বিলি করার প্রতিবাদে প্রকল্প থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েও দিয়েছে। যদিও কেন্দ্র-রাজ্য মউ স্বাক্ষর হওয়াই শুধু নয়, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে তা চালু হয়ে যাওয়ার পরেও এভাবে আয়ুষ্মান ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যাহারের বিষয়টিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক কিছুটা হতবাক। রাজ্যবাসীর কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যাতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে, তাও চায় কেন্দ্র।
তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি না দেখে শেষমেশ বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার কার্যকর করার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের কোনও বাসিন্দা (যারা প্রকল্পের সুবিধেভোগী) ভিন রাজ্যে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে বিমার অঙ্ক মাফিক খরচ যোগাবে কেন্দ্র। সুবিধে মিলবে পোর্টেবিলিটির। উল্লেখ্য, রাজ্য যেহেতু নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তাই পশ্চিমবঙ্গে এর কোনও সুবিধা মিলবে না। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান ভারতের চিকিৎসার তালিকাভুক্ত কোনও হাসপাতালই থাকবে না।
মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেই এই বিশেষ সুবিধা মিলবে। কারণ মউ স্বাক্ষর করার পরে তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অর্থাৎ একসময়ে প্রকল্পটি চালু হয়েছিল। তাই নাগরিকরা যাতে বঞ্চিত না হন, সেকথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। তবে ওড়িশা, দিল্লি বা তেলেঙ্গানার মতো যেসব রাজ্য মউ স্বাক্ষরই করেনি, তাদের বাসিন্দারা এই বিমার সুবিধা পাবে না।