বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্বাস্থ্যের কারণে গত পাঁচ বছরে নিজের কেন্দ্রে যাওয়া কমে গিয়েছে সোনিয়ার। সেই ধারা বজায় রেখে দীর্ঘ ন’মাস পর রায়বেরিলিতে পা দেবেন তিনি। যেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর ও রাহুলের কেন্দ্র আমেথিকে পাখির চোখ করেছে। শুধু ঘন ঘন যাওয়াই নয়, গত ডিসেম্বরেই সেখানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরির সূচনা করেছেন তিনি। যা এক সময় সোনিয়া গান্ধীর স্বপ্নের প্রকল্প ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেত্রী রায়বেরিলি সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার ফুরসৎগঞ্জ হেলিপ্যাডে নামবেন সোনিয়া-রাহুল। সেখানে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে একাধিক জনসভা করবেন কংগ্রেস সভাপতি। শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন ‘কিষান শহিদ স্থলে’। আইনজীবীদের সংগঠন বার অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ওই দিনই হালিয়াপুরে পথসভা করবেন রাহুল। ছেলের সঙ্গে একই অতিথিশালায় রাত কাটাবেন সোনিয়া। সেখানে দুই কেন্দ্রের বাসিন্দাদের থেকে সমস্যার কথা শুনবেন তাঁরা। রায়বেরিলিতে এম তহবিলের টাকা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন সোনিয়া। পর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে সোনিয়া-রাহুলের।
উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোটে স্থান না পাওয়ায় রাজ্যের ৮০টি কেন্দ্র থেকেই এক লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে প্রিয়াঙ্কা না সোনিয়া কে দাঁড়াতে পারেন, তা নেত্রীর থেকে জেনে নিতে চাইবেন কংগ্রেস কর্মীরা। সেইমতো তাঁরা প্রস্তুতি নেবেন। এক জেলা নেতার কথায়, ‘আশা করি ম্যাডামের সঙ্গে বৈঠকে সে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
অন্যদিকে জল্পনা ছড়িয়েছে, আমেথি ছেড়ে এবার মহারাষ্ট্রের নান্দেদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেন রাহুল। শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্ট মতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেড়ে যাওয়া ছিন্দওয়াড়া আসনটিও কংগ্রেস সভাপতির চিন্তাভাবনায় রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেস নেতৃত্ব রাহুলকে একটি নিরাপদ আসন উপহার দিতে চাইছেন। এ বিষয়ে দেশের প্রথম সারির এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যবন বলেছেন, ‘রাহুল দেশের যেকোনও কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন। উনি যদি নান্দেদ বাছেন, তাহলে ওঁকে স্বাগত’।
দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের দুর্গ নামে পরিচিত এই নান্দেদ। ২০১৭ সালে ৮১টি আসনের মধ্যে ৭৩টি জিতে নান্দেদ পুরসভা নিজেদের দখলে নেয় তারা। কিন্তু, হঠাৎ আমেথি ছেড়ে নান্দেদ কেন? রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট হওয়ায় আমেথি থেকে রাহুল লড়লে আশপাশের কেন্দ্রগুলিতে খুব বেশি দাঁত ফোটাতে পারবেন না তিনি। সেখানে রাহুলকে নান্দেদ থেকে দাঁড় করানো হলে লাতুর, যাবতমল-ওয়াসিম, পারভানি ও হিঙ্গোলির মতো কেন্দ্রের উপর প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী, কংগ্রেস-এনসিপি জোটকে প্রভাবিত করে মহারাষ্ট্র থেকে আরও বেশ কিছু আসন জিততে পারে কংগ্রেস।