পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লোকসভায় রাফাল ইস্যুতে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তীব্র বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তারপরেও ট্যুইট বার্তায় তাঁরা পরস্পরের বিরুদ্ধে তরজায় জড়িয়েছিলেন। আন্না হাজারের এদিনের হুঁশিয়ারির পর রাফাল প্রশ্নে কংগ্রেস আরও বড় অস্ত্র পেয়ে গেল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এদিন দুর্নীতি দমন ইস্যুতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন আন্না হাজারে। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে বিজেপির সরকারের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তা সত্ত্বেও লোকপাল নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। অথচ ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকার গড়েই তিনি লোকপাল নিয়োগ করবেন। এই সরকার কোনওরকম সাংবিধানিক রীতিনীতির তোয়াক্কাই করে না। সংবিধান না মানলে আর সরকারের তকমা দেওয়া হবে কেন? সেক্ষেত্রে কাপড়ের দোকান আর সরকারের মধ্যে ফারাক কোথায়?’
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিজেপি দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে মোদি বিরোধিতায় এককাট্টা হচ্ছেন। তিনি কি প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য দাবিদার হতে পারেন? প্রশ্ন করায় এদিন আন্না হাজারে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মতো করে রাজনীতি করছেন। তা ভালো, না মন্দ আমি বলতে পারব না। তবে আমার আন্দোলন থেকে আমি রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখেছি।’ পশ্চিমবঙ্গে লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কাউকে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করলে তাতে আখেরে লাভ হবে না। এটা বিধানসভায় আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।’ আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে নিজের গ্রাম মহারাষ্ট্রের রালেগাঁও সিদ্ধিতে অনির্দিষ্টকালের অনশনে বসবেন আন্না। এরই পাশাপাশি ওইদিন থেকেই চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, ভোপাল, দিল্লি এনসিআর, ফরিদাবাদের মতো মোট ১৫টি জায়গায় অনশন করবেন তাঁর অনুগামীরা। হবে ধর্না অবস্থানও।