পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
খনি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজস এবং মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডির সম্পর্ক নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিরঞ্জন পট্টনায়েক সম্প্রতি ওড়িশা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, ১৯৮৫ সালে খনি ব্যবসার সূত্রে সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিতেন। নিরঞ্জনকে সরানোর দাবি করে রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন জেনা। এরপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই নিয়ে জেনা রবিবার বলেন, ‘রাহুল গান্ধী প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তিনি খনি মাফিয়াদের সঙ্গেই রয়েছেন।’
বিজেডির সঙ্গে জোট করা নিয়েও ওড়িশায় কংগ্রেসের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কয়েকদিন আগেই বিজেডির সঙ্গে জোটের কথা ঘোষণা করেছিলেন জেনা। পরে কংগ্রেস সেই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে। আর মুখ পোড়ে জেনার। এই নিয়ে জেনা বলেন, রাহুল গান্ধীর থেকে পট্টনায়েক পরিবারের সঙ্গে থাকার ইঙ্গিত পেয়েই তিনি জোটের কথা ঘোষণা করেছিলেন। খনি মাফিয়াদের লুটের হাত থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচানোর চেষ্টা করার অপরাধেই তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হল বলে জেনা জানিয়েছেন। আগামী দিনে তিনি রাহুল গান্ধী এবং নবীন পট্টনায়েকের ‘অশুভ আঁতাতে’র বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবেন।
জেনার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান নিরঞ্জন পট্টনায়েক বলেন, ‘দলবিরোধীদের কংগ্রেসে কোনও জায়গা নেই।’ আর বিজেডির মুখপাত্র পিকে দেব বলেছেন, ‘জেনার অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। আগে তিনি বলেছিলেন বিজেডি বিজেপির বি-টিম।’ বিজেপির সহ সভাপতি সমীর মোহান্তি জেনাকে সমর্থন করে জানিয়েছেন, তাঁকে বহিষ্কারই প্রমাণ করল কংগ্রেস চালাচ্ছে খনি মাফিয়ারা।