কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (ভোট অন অ্যাকাউন্ট) পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। কিন্তু সেখানে রেলের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির কোনওরকম উল্লেখ করা হবে না বলেই রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর। কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি। সূত্রের খবর, রেলের যাত্রী সংখ্যা যেখানে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে অযথা যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি চাপ দিতে চাইছে না রেলমন্ত্রক।
কীরকম বৃদ্ধি পেয়েছে রেলের যাত্রীসংখ্যা? সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসের তুলনায় ২০১৭ সালের এপ্রিল-নভেম্বর মাসে রেলের যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ০.৬৮ শতাংশ। আর উল্লিখিত সময়ে শুধুমাত্র দিল্লি এবং মুম্বইয়ের মধ্যে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ০.৯৯ শতাংশ। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, এই তথ্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রেলের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়। বদলে ট্রেনের আসনের সঠিক ব্যবহারের উপরই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।
যদিও বিগত পাঁচটি অর্থবর্ষের চারটিতেই রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়েছে রেল। ব্যতিক্রম শুধু ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ। ২০১৩-১৪ সালে রেলের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ সালে প্রায় ৭৬৯ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ২ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে রেল প্রায় ৮ হাজার ২৩৮ টাকা রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে। এই দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে রেলের সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছিল, দীর্ঘদিন রেলের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে রাজস্ব বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে নিয়মিতভাবে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির ইস্যুটি বিবেচনা করা হোক।
কিন্তু রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, তেমন সম্ভাবনা একেবারেই নেই। মূলত এই কথা মাথায় রেখেই সম্প্রতি ফ্লেক্সি ফেয়ার সংক্রান্ত নিয়মেও কিছু সংশোধন ঘটিয়েছে রেলমন্ত্রক। যা চলতি বছরের ১৫ মার্চ এবং তার পরবর্তী রেলযাত্রাগুলির উপর কার্যকর হবে। রেল বলছে, ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪৪টি রাজধানী, ৪৬টি শতাব্দী এবং ৫২টি দুরন্ত এক্সপ্রেসে লাগু হয়েছিল ফ্লেক্সি ফেয়ার ব্যবস্থা। যার ফলে ১০ শতাংশ আসন ভর্তি হয়ে গেলেই ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে টিকিটের দাম। থার্ড এসি ক্লাসে টিকিটের দাম বৃদ্ধি হবে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত। এসি সেকেন্ড ক্লাস, স্লিপার, এসি চেয়ার কারে তা বৃদ্ধি পাবে সর্বোচ্চ ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত। কিন্তু প্রধানত যাত্রী অসন্তোষের কথা মাথায় রেখেই এই নিয়মে সংশোধন ঘটানো হয়েছে। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই কমেছে টিকিটের দাম। এমনকী শর্তসাপেক্ষে টিকিট কাটায় ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই পরিস্থিতিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ মেনে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হতে চাইছে না রেল। সামনে যে লোকসভা ভোট!