গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী নেতাদের একমঞ্চে এনে শনিবার ব্রিগেডের সভা থেকে মমতার তোপ ছিল, মোদি সরকারের মেয়াদ ফুরিয়েছে। কলকাতার এই সভা থেকে বিরোধী নেতাদের ঐক্যবদ্ধ সুর শোনা গিয়েছে। মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের অঙ্গীকার সামনে এসেছে। তার প্রেক্ষিতে গতকালই গুজরাত থেকে মোদি খোঁচা দেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাঁচাও বাঁচাও রব উঠছে। আর এদিন আক্রমণের ফলা আরও তীক্ষ্ণ করলেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দলের বুথ স্তরের কর্মীদের প্রতি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রস্তাবিত এই মহাজোটকে তুলোধোনা করলেন। প্রধানমন্ত্রীর তোপ, আসন্ন নির্বাচনে হারের গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা। হার নিশ্চিত বুঝেই অজুহাত খুঁজতে শুরু করেছে। গালমন্দ শুরু করেছে ভোটযন্ত্রকে। উল্লেখ্য, গতকাল বিরোধী শিবিরের বেশ কিছু নেতা ভোটযন্ত্রের পরিবর্তে ব্যালট পেপারে লোকসভা নির্বাচনের দাবি তোলেন। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন মোদির এই খোঁচা। পাশাপাশি ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’র যে স্লোগান উঠেছে, তা নিয়েও তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওরা নিজেদের মধ্যে জোট করেছে। আমরা জোট করেছি ১২৫ কোটি দেশবাসীর সঙ্গে। কোন জোট বেশি শক্তিশালী? কলকাতার মঞ্চে অধিকাংশ নেতাই হয় কোনও প্রভাবশালী মানুষের ছেলে, নাহলে নিজের ছেলেকে তুলে ধরার চেষ্টায় ছিলেন। ওদের কাছে ‘ধনশক্তি’ রয়েছে, আমাদের কাছে ‘জনশক্তি’। এই মহাজোট অদ্ভুত এক বন্ধন। এই বন্ধন তো নামদারদের বন্ধন। এ হল ধনী, দুর্নীতিগ্রস্ত, কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বন্ধন। নেতিবাচক, অস্থিরতা, অসাম্যের বন্ধন।
ঘটনাচক্রে গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাফালকে বফর্স বলে উল্লেখ করে ফেলেছিলেন শারদ যাদব। পরে তিনি ভুল শুধরে নেন। এই বিষয়টি নিয়েও এদিন তীব্র কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর খোঁচা, যে মঞ্চ থেকে ওরা দেশ ও গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলছিলেন, সেই মঞ্চেই এক নেতা বফর্স কেলেঙ্কারির কথা মনে করিয়ে দিলেন। সত্যিটা কতদিনই বা গোপন থাকে! একদিন না একদিন সত্যিটা সামনে চলেই আসে। যেমনটা কাল কলকাতায় হল।