বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পৌষ পূর্ণিমা উপলক্ষে কাল, সোমবার মহাস্নানে অংশ নিতে কুম্ভে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। এর আগে মকর সংক্রান্তিতে প্রথম দফার মহাস্নানের সাক্ষী থেকেছিল প্রয়াগরাজ। ডিজি জানান, নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত বাহিনীকে যেমন মাঠে নামানো হয়েছে, তেমনই আধুনিক প্রযুক্তিরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ডিজি ও পি সিং বলেন, ‘গোটা কুম্ভকে ৯টি জোন এবং ২০টি সেক্টরে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার পুলিস এবং ৬ হাজার হোমগার্ড। এর পাশাপাশি, ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ২০ কোম্পানি কম্যান্ডো বাহিনীকেও কুম্ভের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু মেলার জন্যই মেলা ও তার সংলগ্ন এলাকায় ৪০টি থানা, ৫৮টি আউটপোস্ট, ৪০টি দমকলকেন্দ্র তৈরি হয়েছে।’
কুম্ভস্নানে পৌষ পূর্ণিমার গুরুত্ব কতটা? পূরাণ মতে, হিন্দু ক্যালেন্ডারে পৌষ মাসের প্রথম পূর্ণিমাকে অত্যন্ত শুভ বলে গণ্য করা হয়। স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ এই পৌষমাসের প্রতিনিধিত্ব করেন। স্বাভাবিকভাবেই, এমন পুণ্যদিনে সঙ্গমে ডুব দিয়ে পাপস্খালনের সুযোগ কেউই হাতছাড়া করতে চান না। পৌষ পূর্ণিমা মহাস্নানের পর কুম্ভে আরও চারটি মহাস্নান রয়েছে। সেগুলি হল— মৌনী অমাবস্যা (৪ ফেব্রুয়ারি), বসন্ত পঞ্চমী (১০ ফেব্রুয়ারি), মাঘী পূর্ণিমা (১০ ফেব্রুয়ারি) এবং মহাশিবরাত্রি (৪ মার্চ)।
গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এবারের কুম্ভমেলা চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত। এই ৫০ দিনের কুম্ভমেলা থেকে এবছর উত্তরপ্রদেশ সরকার ১.২ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব লাভ করবে বলে জানিয়েছে বণিকসভা কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই)। নিজেদের রিপোর্টে সিআইআই জানিয়েছে, আদতে কুম্ভমেলার সত্ত্বাটা ধর্মীয় হলেও, এর অর্থনৈতিক প্রভাব অনেকটাই বেশি। একটা কুম্ভমেলা একাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান করতে পারে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। বণিকসভার দাবি, আয়োজক রাজ্য উত্তরপ্রদেশ এবারের মেলা থেকে ১.২ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করবে। এর পাশাপাশি, প্রতিবেশী রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশেরও রাজস্ব বাড়বে। কারণ, প্রতি বছরের মতো এবারও কুম্ভে আসা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের একটা বড় অংশ এই পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও যাবেন বলে মনে করছে সিআইআই।