পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের দামামা বাজতে শুরু করতেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোট নিয়ে চর্চা। বিহারে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াইয়ে নেমেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। রাজ্যে রাজ্যে শুরু হয়েছে বিরোধী দলের জোট তৈরির চর্চা। সেই চর্চার মূল বিষয় হল, বিরোধীরা যদি জোট বাঁধেন, তবে নেতৃত্ব দেবেন কে? গতকাল কলকাতার ব্রিগেডে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে লড়াইয়ের কথা বলেননি। কিন্তু সেই সমাবেশে উপস্থিত আরজেডি নেতা তেজস্বী একদিন পরেই বললেন, ওই জোটকে নেতৃত্ব দিতে পারে একমাত্র কংগ্রেস। বস্তুত, বিরোধী জোটে এখন দু’রকম নেতা রয়েছেন। একদল সরাসরি কংগ্রেসের নেতৃত্বে লড়াই করতে প্রস্তুত। এমনকী, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলেও তাঁদের আপত্তি নেই। এই মতের উল্লেখযোগ্য নাম স্ট্যালিন, চন্দ্রবাবু নাইডু। তেজস্বী যাদবও এই পথেই চলতে চাইছেন। তিনি এদিন বলেছেন, যদি জোট তৈরিতে অথবা জোটের নেতৃত্ব কংগ্রেস দেয়, তবে আমি সেটাকে ভুল বলে মনে করি না। কারণ কোনও সন্দেহ নেই বিজেপি বা এনডিএ-কে মোকাবিলা করতে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসই সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে কংগ্রেসকেও বুঝতে হবে প্রত্যেক রাজ্যের বাস্তব চিত্র আলাদা। সেই কারণে কংগ্রেসেরও হৃদয় বড় করতে হবে। যেখানে কংগ্রেস দুর্বল, সেখানে বিজেপি বিরোধী আক্রমণে আঞ্চলিক দলগুলির নেতৃত্ব মেনে নিতে হবে।
উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই জোট করেছেন, অখিলেশ-মায়া। এই জোটে স্থান হয়নি কংগ্রেসের। যদিও রায়বেরিলি ও আমেথি অর্থাৎ সোনিয়া ও রাহুলের আসনে প্রার্থী না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বুয়া-ভাতিজা। এই জোট নিয়ে অবশ্য কোনওরকম আপত্তি নেই তেজস্বীর। তাঁর সাফ কথা, যে সব রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি কম, সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে নেতৃত্ব দিতে হবে। কারণ বিজেপি বিরোধী ভোট টেনে আনার দক্ষতা আঞ্চলিক দলগুলির রয়েছে। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে একলা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে। তেজস্বী বলছেন, লোকে ভালোই জানে বিজেপি বিরোধিতা করতে হলে কোন জোটকে ভোট দিতে হবে। সম্প্রতি অখিলেশ ও মায়াবতীর সঙ্গে দেখা করেন তেজস্বী। এই সাক্ষাৎ কংগ্রেসকে চাপ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বলে সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছিল। এদিন ওই চাপ-তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়েছেন তেজস্বী। তিনি বলেন, অখিলেশ ও মায়াবতীর সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক। তাই ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে জল্পনা করার কোনও যুক্তি নেই।
বিহারে মহাজোটে এসপি অথবা বিএসপিকে যে তিনি শামিল করতে চান না, তাও বুঝিয়েছেন তিনি। বলেছেন, জোটে শামিল রয়েছি বোঝাতে সবসময় আসনের দরকার পড়ে না। তিনি বলেন, বিহারে এসপি-বিএসপি মোটেও মূল রাজনৈতিক দল নয়। তেজস্বী বলেন, আসন সংখ্যা যাই হোক না কেন, সকলেই জানে বিহারে আরজেডি-ই প্রধান শক্তি।