গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যতই নিজেদের ঢাক পেটাক, তা আদতেই খুশি করতে পারেনি শিল্পমহলকে। নগদ টাকার জোগানে বাধা আসায় যেভাবে ধাক্কা খেয়েছে শিল্প, তার ক্ষত এখনও শুকায়নি। এদিকে, সেই নগদ ঝঞ্ঝাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরাই, জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এর সঙ্গে দোসর হয়েছে জিএসটি। গোটা দেশকে একটি মাত্র পরোক্ষ করের আওতায় আনার যে উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছিল, তা কার্যকর করার উপায়টি নিয়ে আপত্তি ছিল নানা মহলের। জোর করে ওই করকাঠামো চালু করতে যেভাবে হুড়োহুড়ি করেছে সরকার, তার খেসারতও দিতে হয়েছে সেই ব্যবসায়ীদেরই। অভিযোগ উঠেছে, এতে যেমন ব্যবসায়ীদের হিসেব রাখার ঝঞ্ঝাট বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে খরচও। এমনকী জিএসটি পরিকাঠামোটিও এখনও নড়বড়ে, অভিযোগ তাঁদের। জিএসটি নেটওয়ার্ক জনিত সফ্টওয়্যারটি এখনও সুষ্ঠুভাবে কাজ না করার অভিযোগও এনেছেন অনেকে। এই দুই বিষয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্ধ হওয়ায় সেই ক্ষোভে জল ঢালা আশু প্রয়োজন বলেই মনে করেছে দেশের শাসকদল।
বণিক মহলের মতে, এ দেশে ছোট ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় সাত কোটি। কীভাবে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে সুবিধা দেওয়া যায়, তার জন্য হোমওয়ার্ক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সেই তথ্যই কানে এসেছে ট্রেডারদের সংগঠনের কর্তাদের। বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী তাঁরাও। তাঁদের কাছে আভাস দেওয়া হয়েছে, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন আছে বা কম্পোজিট স্কিমের আওতায় আছেন, এমন ব্যবসায়ীদের ১০ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনাজনিত বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু বছরে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসায়িক টার্নওভার হলে জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের দরকার নেই, এমন কথাও ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সেক্ষেত্রে বহু ট্রেডার বা ব্যবসায়ী ওই সুবিধার আওতায় নাও আসতে পারেন। তাঁদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া যায়, তার হদিশও করছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, সূত্রের খবর এমনই।
ছোট ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ দিতে আরও দরাজ কেন্দ্রীয় সরকার। ৫৯ মিনিটে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে স্কিমও। যেখানে ব্যাঙ্কগুলি বিপুল অঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ বা এনপিএ নিয়ে জর্জরিত, সেখানে আবারও তাদের নতুন করে বিপদে ফেলার গন্ধও পেয়েছেন অনেকে। কারণ, যেখানে বড় সংস্থাগুলিকে ঋণ দিয়ে তা আর আদায় করতে পারছে না ব্যাঙ্কগুলি, সেখানে ছোট শিল্পের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা এত তাড়াতাড়ি যাচাই হবে কী করে, উঠছে সেই প্রশ্নও। কিন্তু এর পরেও ঋণের বহর আরও বাড়াতে চায় কেন্দ্র। মহিলারা যাতে আরও বেশি করে স্বনির্ভর হতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে ছোট অঙ্কের ঋণ যাতে কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই দিকটিই আরও নিশ্চিত করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ভোটের আগে নারীকুলের মন পেতে তাই ঋণের শর্ত শিথিল করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি।