কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইভিএম মেশিন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে কী দাবি জানাতে চলেছে, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, ভোটে কাগজের ব্যালটে ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু এখন ভোটের আর মাত্র দু’-তিন মাস বাকি আছে। তাই চাইলেও এটা আর সম্ভব হবে না। তাই ইভিএম দিয়ে যাতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ করা যায়, সেব্যাপারে নির্দিষ্ট দাবি করা হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। একশো শতাংশ ইভিএমে ‘ভিপিপ্যাট’ মেশিন লাগাতে হবে।
ভিভিপ্যাট মেশিন থাকলে ভোট দেওয়ার পর কাকে তা দেওয়া হল, তা একটি কাগজে (পেপার ট্রেল) উঠে যায়। এই কাগজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সিলবন্ধ বাক্সের মধ্যে জমা হয়। কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি হবে, অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটের পেপার ট্রেল গণনার ব্যবস্থা করতে হবে। বিএসপি-র সতীশ মিশ্র বলেন, ইভিএমে যাতে কোনও জালিয়াতি না হয়, তার জন্য আমাদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ফারুক আবদুল্লাও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সৌজন্যতে স্বল্পকালীন সময়ের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু, গেগং আপাং, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেজস্বী যাদব ছাড়াও জিগ্নেশ মেওয়ানি, হার্দিক প্যাটেলও উপস্থিত ছিলেন। তবে হাতে অল্প সময় থাকার জন্য সবাই বক্তব্য রাখতে পারেননি। ব্রিগেডের সমাবেশ আয়োজন করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসার পাশপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের কড়া সমালোচনা করা হয় সাংবাদিক বৈঠকে। আগামী দিনে একজোট হয়ে চলার কথা অখিলেশ সহ অন্যান্য নেতারাও বলেন। চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, দেশের মানুষ এখন আমাদের সঙ্গেই আছেন। ফারুক আবদুল্লা বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে এখনই কিছু করতে হবে। বিরোধীদের এই জোট ভোটের আগে কোনও অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নেবে কি না, তা জানতে চাওয়া হলে নেতারা বলেন, এটা করার জন্য এখনও অনেক সময় আছে। অভিষেক মনু সিংভি বলেন, বিরোধীদের প্রতি কেন্দ্রে একজন করে শক্তিশালী প্রার্থী দেওয়া উচিত।