পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় সভার শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই বক্তব্য রাখতে ডাকেন গুজরাতের তরুণ তুর্কি নেতা হার্দিক প্যাটেলকে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’ বক্তব্য মনে করিয়ে তিনি বলেন, এই মহতী সভা আয়োজন করার জন্য দিদিকে ধন্যবাদ। সুভাষচন্দ্র বসু যেভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন, এখন চোরেদের বিরুদ্ধে তেমনই লড়াই করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। হাম লড়েঙ্গে। সবকো লড়না হ্যায়। তাঁর মতোই লড়াইয়ের জেহাদ ঘোষণা করে মোদির রাজ্যের বিধায়ক জিগ্নেশ মেওয়ানি শুরুতে বাংলায় বললেন, আমি বাংলাকে ভালবাসি। তাঁর বক্তব্যেও মূল সুর ছিল বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই।
ঝাড়খণ্ডের নেতা হেমন্ত সোরেন বলেন, গোটা দেশে যেন ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিজেপি দেশকে ধ্বংস করার প্রয়াস চালাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় লোকদলের অজিত সিংয়ের ছেলে জয়ন্ত সিং বলেন, এটা র্যা লি নয়, উত্তর ভারতের কথায় র্যা লা, অর্থাৎ মহতী সভা। এদিনের সভার অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। লাল টুপি পড়ে সমাজবাদী পার্টির ওই নেতা বাংলার মাটিকে প্রণাম জানিয়ে বলেন, মমতাজি’র ডাকে আজ এসেছি। বাংলা যা ভাবে, দেশ তা পরে ভাবে। আজ মমতাজি আজ এই সভায় বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করলেন। আমরা বিজেপি’কে হারাতে গত ১২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির মধ্যে জোট করেছি। আর ১৯ জানুয়ারি এই র্যা লি হল। কেন্দ্রীয় সরকারে বদল আসবে। নতুন বছরে নতুন প্রধানমন্ত্রী আসবে। অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনাদের প্রধানমন্ত্রী কে? আমি বলি, জনতাই বানাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমরা জনতার সঙ্গে জোট বাঁধছি। আর ওরা (বিজেপি) জোট বেঁধেছে সিবিআই-ইডির সঙ্গে। ইউপি’তে আমাদের জোটের পর মোদির ঘুম ছুটে গিয়েছে। বৈঠকের পর বৈঠক করছে। কিন্তু খাতা আর খুলবে না।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যাখ্যা করে বিজেপির অপশাসনের নানা দিক তুলে ধরেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দ্বিতীয়বার যদি বিজেপি সরকার আসে, তাহলে দেশের সংবিধান বদলে দেবে। যেভাবে হিটলার করেছিলেন, তাই করবেন মোদি। বক্তব্য পেশ করেন বিহারের তরুণ প্রজন্মের নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমার বাবাকে জেলে ভরা হয়েছে। ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাদের নানাভাবে হয়রান করা হচ্ছে। কলকাতা সব সময় বলে, করব, লড়ব, জিতব রে। আমরাও বলি, করব, লড়ব, জিতব রে। অনৈক্যের মধ্যেই রয়েছে একতা। আমাদের তলোয়ার দরকার নেই। দরকার একটি সূঁচ। বিজেপি দেশকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। সেই সূঁচ দিয়ে সেলাই করতে হবে। সূঁচের ভূমিকা নিয়ে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। মিথ্যা কথার হোলসেলার হলেন নরেন্দ্র মোদি। ব্যবসায় একটি কিনলে একটি ফ্রি-এর ব্যবস্থা চালু আছে। আর মোদি চালু করেছেন, একটি মিথ্যা বললে ১০টি মিথ্যা ফ্রি। দর্শকদের মধ্যে হাততালির ঝড় ওঠে।