পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লোকসভা ভোট হওয়ার কথা আগামী মে মাসে। ভোট ঘোষণা হওয়ার কথা মার্চের গোড়ায়। সেই কারণে মোদিবিরোধী জোটকে দ্রুত সঙ্ঘবদ্ধ করতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা। তাঁর ডাকে এদিন কংগ্রেস সহ দেশের তাবড় বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা ব্রিগেডের মঞ্চে শামিল হয়ে মমতার সেই উদ্যোগে সাড়াও দিলেন কৃতজ্ঞচিত্তে। মল্লিকার্জুন খাড়গে, ফারুক আবদুল্লা, শারদ পাওয়ার, দেবেগৌড়া, তেজস্বী যাদব, অজিত সিং, অখিলেশ যাদব, সতীশ মিশ্র, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, চন্দ্রবাবু নাইডু, কুমারস্বামী, এম কে স্টালিন, হার্দিক প্যাটেল, জিগ্নেশ মেওয়ানি, বদরুদোজ্জা আজমল প্রমুখের মতো নানা জাতীয় ও আঞ্চলিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপি বিরোধী বার্তা দিয়েছেন। তবে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের অস্বস্তি দ্বিগুণ করতে এই মঞ্চে বিরোধীদের সুরেই সুর মিলিয়েছেন বিজেপির তিন ‘বিদ্রোহী’ নেতা যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা এবং অরুণ শৌরি। গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষার জন্য মোদি সরকারকে হটানো কত প্রয়োজন, সেটা তাঁরাও জোর গলায় এদিন বলে যান বিগ্রেডের ভিড়ে ঠাসা জনতার সামনে।
এদিন মমতা সহ বিরোধী নেতারা আরও একটি বিষয়ে জোর দিয়েছেন নিজেদের ঐক্য বজায় রাখার শপথ নেওয়ার প্রশ্নে। তা হল, একের বিরুদ্ধে একের লড়াইয়ের নীতি। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, এবারের নির্বাচন কার্যত দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তির সংগ্রাম। সরকার পরিবর্তনের এই লড়াইয়ে বিরোধী ঐক্য রক্ষার স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে একজন বিরোধী প্রার্থী থাকা দরকার। এজন্য এখনই আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট করায় বিজেপির ঘুম ছুটেছে। অন্যত্রও তা করা গেলে দেশ থেকে মোদির দল সাফ হয়ে যাবে।
এর আগে বাম আমলে প্রয়াত জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে দু’বার এই ধরনের বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ তৈরি হয়েছিল ব্রিগেডে। এবার কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তিকে যথাসম্ভব এককাট্টা করতে তার থেকেও বড় উদ্যোগ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন মমতা। দলের নেত্রীর এই উদ্যোগের সাক্ষী থাকতে এদিন ভোর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ব্রিগেডে ভিড় জমাতে থাকেন তৃণমূল সমর্থকরা। ভিড়ে ঠাসা ব্রিগেডে ঝাঁ চকচকে পাঁচ মঞ্চের মহা সমারোহ দেখে প্রায় আপ্লুত হয়ে পড়েন বিভিন্ন নেতা। সকলেই এজন্য কৃতিত্ব দেন মমতাকে। ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেত্রীর সাফল্য এদিন আরও এক ধাপ উচ্চতায় ওঠে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর শুভেচ্ছা বার্তায়। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পর এদিন সোনিয়াও এই সমাবেশের সাফল্য কামনা করে লিখিত বার্তা পাঠান দলের প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খাড়গের মাধ্যমে। তাঁর বার্তাতেও বিজেপি সরকারকে হটানোর জন্য বিরোধী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার সুর ছিল স্পষ্ট।