কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি সবরীমালা মন্দিরে পুজো দিতে আসেন কুন্নুরের বাসিন্দা রেশমা নিশান্ত ও শানেল্লা সাজেশ। কিন্তু তাঁদের উপরে ভক্তদের নজর পড়তেই শুরু হয় বিক্ষোভ। যার জেরে গত বুধবার পুজো না দিয়েই ফিরে আসেন তাঁরা। এদিন ভোরে ফের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য রওনা হন রেশমা ও সানেল্লা। ভোর পাঁচটা নাগাদ নীলাকল বেস ক্যাম্পে পৌঁছন তাঁরা। কিন্তু আয়াপ্পা ভক্তরা বিষয়টি নিয়ে ফের বিক্ষোভ দেখাতে পারেন, এই আশঙ্কায় দুই মহিলাকে আটকায় পুলিস। কন্ট্রোল রুমে এনে পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁদের বিস্তারিত জানানো হয়। পুলিসের তরফে আরও বলা হয়, পুজো দিতে গিয়ে আয়াপ্পা ভক্তদের মুখে পড়লে তাঁদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না। গোটা বিষয়টি বুঝতে পেরে ফিরে যেতে সম্মত হন রেশমা ও সানেল্লা। তাঁদের সঙ্গে মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন আরও ছ’জন। পুজো দিতে না পারার জন্য পুলিসের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। জানান, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। কমবয়সি মহিলারা মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন বলে জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১০-৫০ বছর বয়সি আরও অনেক মহিলা মন্দিরে পুজো দিতে আসবেন বলেও দাবি করেন তাঁরা।
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর এক ঐতিহাসিক রায়ে সবরীমালা মন্দিরের দরজা সব বয়সি মহিলাদের জন্য খুলে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় কেরল সরকার। এরপরে মণ্ডলম-মকরভিলাক্কু উপলক্ষে ১৭ নভেম্বর মন্দিরের দরজা খোলা হয়। কিন্তু মন্দিরে মহিলা প্রবেশ ঘিরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির সদস্যদের পাশাপাশি বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সিপিএম সমর্থকরা। চলতি মাসে কনক দুর্গা ও বিন্দু নামে দুই মহিলার মন্দিরে প্রবেশের বিষয়টি সামনে আসতেই বিক্ষোভ চরমে ওঠে। যদিও প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত ৫০ বছরের কমবয়সি মোট ৫১ জন মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করেছেন বলে সুপ্রিম কোর্টেও জানিয়েছে কেরল সরকার।