পাটনা, ১৭ জানুয়ারি: বিহারে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের আসন রফার ফর্মুলা মোটামুটি পাকা হয়ে গেল। সূত্রের খবর অন্তত তেমনটাই। এই ফর্মুলা অনুযায়ী, বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ১৮ থেকে ২০টি কেন্দ্রে লড়াই করতে পারে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারে ৮ থেকে ১২টি আসনে। ৪ থেকে ৫টি আসন জুটতে পারে উপেন্দ্র কুশওয়ার দলের ঝুলিতে। সম্প্রতি এনডিএ ছেড়ে বিহারের বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন কুশওয়া। আসন সফার সূত্র অনুযায়ী, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা (হ্যাম) ও লোকতান্ত্রিক জনতা দল (এলজেডি) ১ থেকে ৩টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারে। যদিও কংগ্রেস আয়োজিত দহি-চুরা এড়িয়ে গিয়েছেন হ্যামের সভাপতি জিতনরাম মাঝি। যোগ দেননি শারদ যাদবও। তাঁদের এই অনুপস্থিতি আবার নয়া জল্পনা তৈরি করেছে। আসন রফার যে আলোচনা এখনও পর্যন্ত চলেছে, তাতে এই দুই নেতাই খুশি নন। এই অবস্থায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মদনমোহন ঝাকে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে আয়োজিত দহি-চুরা অনুষ্ঠান থেকেই তাঁর বার্তা, বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যে মহাজোটের সব দলকেই কিছুটা আপস করতে হবে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে যেভাবে মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব জোট ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে তোপ দাগেন তিনি। ঝা বলেন, কংগ্রেসকে অবহেলা করে ভুল করেছে এসপি-বিএসপি। বিহারে আসন রফা নিয়ে সব দলকেই আপস করতে হবে।
কংগ্রেসের আয়োজিত এই দহি-চুরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। দেখা গিয়েছে উপেন্দ্র কুশওয়াকেও। ছিলেন বিকাশশীল ইনসান পার্টির সভাপতি মুকেশ সাহানি। উত্তরপ্রদেশের মতো পরিস্থিতি যে বিহারে হবে না, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালান তেজস্বী। লালুপুত্রের কথায়, বিহারের মহাজোটে কংগ্রেস থাকছে। এর আগে গত সোমবার তেজস্বীর বক্তব্য ছিল, বিজেপিকে হারাতে অন্য দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসকেও আপস করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।