কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাফাল চুক্তি এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানের মত, প্রতিরক্ষা বিষয়ক চুক্তিতে দেরি হওয়া আমাদের দেশের সবথেকে বড় সমস্যা। এই ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের সামরিক সরঞ্জাম তৈরির বিষয়টি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষে বিষয়। সেটার বদল হওয়া প্রয়োজন। এ দেশে প্রতিরক্ষা বা অন্যান্য বিষয়ক চুক্তি করতে যে সময় লাগে, তা কমিয়ে আনতে হবে। নাহলে সময়ের অভাবে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ব। রাফাল ইস্যুর মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে আলোচনা করা প্রয়োজন। কিন্তু চুক্তি থামিয়ে নয়। বায়ুসেনার শক্তিবৃদ্ধিতে রাফাল আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনীতিকরণের ফাঁসে সামরিক শক্তিবৃদ্ধি আটকে পড়েছে। দেশের মানুষই এবার ঠিক করুক, রাজনৈতিক বিতর্ক চলবে নাকি চুক্তি অনুযায়ী শক্তিবৃদ্ধি করে শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
এদিন বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে সেনার্স-কে আয়োজিত ‘সাইবার টেরোরিজম অ্যান্ড দি ইকোনমি’ শীর্ষক আলোচনায় অরূপবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম কে নারায়ণন, চিফ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রাক্তন প্রধান শ্যামল দত্ত, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রাক্তন অধিকর্তা তথা র’-এর প্রাক্তন প্রধান এ এস দুলাট, দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান শঙ্কর রায়চৌধুরী সহ বিশিষ্টরা।
অরূপবাবু দাবি করেন, ভারত একাধিক যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। নিজের শক্তি নিজের দক্ষতায় বৃদ্ধি করছে। নৌবাহিনী, স্থলবাহিনী, বায়ুসেনার মিলিত শক্তিতেই এ দেশ পৃথিবীর মধ্যে সেরা জায়গাগুলি নিয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে অ্যারোস্পেস পাওয়ার না থাকলে বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যুদ্ধে জেতা অসম্ভব। সাইবার সংস্থা তৈরির ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, যে সাইবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে, তাতে নিজেদের আধুনিক করে তুলতে না পারলে টিকে থাকা অসম্ভব। সাইবার সংস্থা গড়ে শক্তিবৃদ্ধির ব্যাপারে তৎপর হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কিন্তু আরও আগে থেকে প্রয়োজন ছিল বলেই তিনি মনে করেন।
প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন বলেন, সাইবার জঙ্গি ও সাইবার হ্যাকার দু’টি সম্পূর্ণ পৃথক গোষ্ঠী। সাইবার জঙ্গি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয়ভাবে প্রভাবিত হয়। যারা দেশের এবং অভ্যন্তরীণ কাজকর্মের ক্ষতি করে। অন্যদিকে, হ্যাকাররা রেকর্ড চুরি করে। তাতে অবশ্য কারও ক্ষতি সেই পর্যায়ে হয় না। তবে আমার মতে, দেশের যেসব সংস্থা নিজেদের মধ্যে নথি আদানপ্রদান করে, তাদের মধ্যে ‘ডেটা ব্রিজ’ তৈরি করা উচিত। চারপাশ থেকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলতে হবে। যাতে কিছুই চুরি না হতে পারে। বর্তমানে সাইবার যুদ্ধে আমাদের যেমন প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন, তেমনই প্রত্যাঘাতের ক্ষমতাও থাকা উচিত। ভারত এখন ডিজিটাল বিশ্বে অন্যতম শক্তপোক্ত জায়গায় রয়েছে। আধার কার্ডও সহজ করে তুলেছে। তাই এ দেশে পরিচয়পত্র তৈরি করা যত সহজ, ততটাই সহজ অনলাইনে ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে ক্ষতিসাধন করা। ম্যালওয়ার ভাইরাস কোড পাওয়া এতটাই সহজ হয়ে উঠেছে যে পৃথিবীতে ওয়েবসাইট বা কম্পিউটার হ্যাকিং করে নথি চুরি করা আর অসম্ভব হচ্ছে না।