গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বহু বছর ধরে জঙ্গি সমস্যায় জর্জরিত জম্মু ও কাশ্মীর। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায়শই সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে রক্তাক্ত হচ্ছে উপত্যকা। জঙ্গি দমনে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। এর মধ্যেই স্থানীয় জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ালেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অনন্তনাগে দলীয় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পাকিস্তান এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। পাশাপাশি, কথা বলতে হবে জঙ্গি নেতাদের সঙ্গেও। কারণ যাদের হাতে বন্দুক রয়েছে, তারাই এই বন্দুকরাজ খতম করতে পারে।’ মুফতি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, একটা সময়ে হুরিয়ত কনফারেন্স এবং জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও আলোচনায় বসা প্রয়োজন।’
স্থানীয় জঙ্গিদের হিংসার পথ থেকে সরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়ে পিডিপি নেত্রী বলেন, ‘স্থানীয় জঙ্গিরা কাশ্মীরের ভূমিপুত্র। তারা আমাদের সম্পদ। তাদের রক্ষা করতে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা করতে হবে। যদি সেনা-জঙ্গি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়, তাহলে কেউ কিছু করতে পারবে না।’ পাশাপাশি, ২০১৬ সালে জেএনইউয়ের দেশদ্রোহিতা মামলায় কেন এখনই চার্জশিট জমা দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুফতি জানান, এই মামলার চার্জশিটে সাতজন কাশ্মীরি পড়ুয়ার নাম রয়েছে। রাজনীতিতে ফায়দা তুলতেই লোকসভা নির্বাচনের আগে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পিডিপি নেত্রী। একের পর এক ট্যুইটে তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। আর প্রতিবারের মতোই কাশ্মীরিদের ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তোলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে সময়ে চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে, তাও অত্যন্ত সন্দেহজনক। এর আগে, যখন ইউপিএ ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জম্মু ও কাশ্মীর এখনও সেই মূল্য চুকিয়ে চলেছে।’