পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে, এই প্রথম নয়। এর আগেও অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে দু’দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মিলিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে হারানোর সংকল্প করেছেন। গত সপ্তাহে পদযাত্রার সময় জগনমোহন সাংবাদিকদের জানান, ওদের (কেসিআর) এমপির সংখ্যা ১৭। আমাদের ২৫। একসঙ্গে জোট বাঁধলে সংখ্যা হবে ৪২। কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য এই সংখ্যা যথেষ্ট। আমরা আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে নির্ণায়ক শক্তি হব। একইসঙ্গে বলেন, অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার জন্য কেসিআরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করবেন তাঁরা। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী চন্দ্রশেখর রাও এবার জাতীয় রাজনীতির লক্ষ্যে ঝাঁপানোর ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি দেখা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবীন পট্টনায়েক, অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতীর সঙ্গে। যদিও তাঁর ফেডারেল ফ্রন্টে কারা কারা শরিক হবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী-অখিলেশ জোট বেঁধে ভোটে লড়ার ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, কলকাতা থেকে বিরোধী দলগুলিকে একত্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস দাবি করেছে, চন্দ্রশেখর রাওয়ের ফেডারেল ফ্রন্ট আসলে বিজেপির ‘গেমপ্ল্যান’। বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করতেই অমিত শাহের নির্দেশে চলছে কেসিআর। তেলেঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টিআরএসকে বিজেপির ‘বি-টিম’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জিএসটি থেকে নোট বাতিলের মতো বিতর্কিত সব সিদ্ধান্তে মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন চন্দ্রশেখর রাও। এদিন জগনমোহনের সঙ্গে বৈঠককেও কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, কংগ্রেস এবং তেলুগু দেশম পার্টির বিরুদ্ধে টিআরএস-জগনমোহনের জোটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে বিজেপি।