গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, সবরীমালা যাওয়ার পথে নেল্লিমালায় দুই মহিলাকে বাধা দেন ভক্তরা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হতেই রেশমা ও শানিলাকে পেম্বায় নামিয়ে আনা হয়। পরে সকাল সাতটা নাগাদ দুই মহিলাকে এরুমেলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, একদল যুবক তাঁদের নামিয়ে আনে। পরে রেশমা বলেন, ‘পৌঁছনোর আগেই নিরাপত্তা চেয়ে আমরা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আপাতত পুলিসি হেফাজতে থাকা রেশমা ও শানিলা মন্দিরে প্রবেশের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। গোটা ঘটনাটিকে ‘বর্বরোচিত’ আখ্যা দিয়ে দেবস্বম মন্ত্রী কাদাকামপল্লি সুরেন্দ্রন বলেন, ‘সবরীমালায় যা চলছে, তা গুন্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।’
সব বয়সি মহিলাদের সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের পক্ষে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৭ নভেম্বর মন্ডলম-মকরভিলাক্কু উপলক্ষে মন্দির খোলার পর থেকেই শীর্ষ আদালতের রায় কার্যকর করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুর চড়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিও। শুরু হয় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সংঘর্ষ। কিছুদিন আগে গভীর রাতে সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেন কনক দুর্গা ও বিন্দু নামে দুই মহিলা। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভ চরমে ওঠে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির হিংসাত্মক কার্যকলাপে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কেরলের বিভিন্ন অংশ। বোমাবাজি, ছুরি নিয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ থেকে পাথর বৃষ্টি, বাদ যায়নি কিছুই। পরিস্থিতি সামাল দিতে পথে নামা পুলিসবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। কোঝিকোড়, কুন্নুর, তিরুবনন্তপুরম, পাথানামথিট্টার মতো বেশ কিছু এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সিপিএম ও বিজেপি কর্মীরা। পুলিস সূত্রে খবর, এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত তিনজন মহিলা মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। কিন্তু কনক দুর্গা (৪৪) ও বিন্দুর (৪২) মন্দিরে প্রবেশের খবর সামনে আসতেই সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে কেরল। এদিনের ঘটনায় ভক্তরা বিক্ষোভ দেখালেও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।