কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ভার্মার অপসারণ নিয়ে এমনিতেই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। সিলেকশন কমিটির অন্যতম সদস্য কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি তুলেছিলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে ভার্মাকে বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়া হোক। সিভিসি রিপোর্ট সহ বিভিন্ন নথি দেখানো হোক। কিন্তু তাঁর দাবি খারিজ করে ছেঁটে ফেলা হয়েছে ভার্মাকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় তদন্তের নজরদারিতে থাকা বিচারপতি পট্টনায়েকের এদিনের মন্তব্য নিশ্চিভাবেই বিতর্ককে অন্য মাত্রা দিল। পট্টনায়েকের দাবি, তাঁর কাছে তদন্তের যে রিপোর্ট সিভিসি পাঠিয়েছিল, তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাতে স্বাক্ষর ছিল রাকেশ আস্থানার। পট্টনায়েকের এই বক্তব্যের পর ফের সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি এই ইস্যুতে তোপ দাগেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ওদের খুব তাড়াহুড়ো। ওরা উদ্বিগ্ন। কেন? অলোক ভার্মার হাতে রাফালের ফাইল থাকার কারণেই কি এই তাড়াহুড়ো? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলেই কি এত তাড়াহুড়ো?
শুধু কংগ্রেস নয়, ভার্মার অপসারণ নিয়ে মোদি সরকারের মুণ্ডপাত করেছে শিবসেনাও। দলীয় মুখপাত্রের সম্পাদকীয়তে শিবসেনার তোপ, রাফাল বিমান কেনা নিয়ে ওঠা অভিযোগের মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যাচ্ছে, সরকার ভয় পেয়েছে। ভার্মাকে বক্তব্য পেশের সুযোগ না দিয়ে ‘খারাপ উদাহরণ’ তৈরি করল সরকার। রাফাল চুক্তির অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি সব মঞ্চকে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে অপসারিত সিবিআই প্রধানকে বক্তব্য পেশের সুযোগ কেন দেওয়া হল না? তাহলে কি মনে ভয় তৈরি হয়েছিল? পদে ফেরার পর ভার্মা এমনকী যদি একটা দিনও কাজ করার সুযোগ পান, তাহলে সিবিআইয়ের ভিতর থেকে বহু গোপন তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে। রাফাল চুক্তি নিয়ে তিনি সরকারকে অভিযুক্ত করতে পারেন। অভিযোগ দায়ের হতে পারে। উদ্ধব থ্যাকারের দলের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ‘মদতপ্রাপ্ত’ রাকেশ আস্থানা সিবিআইকে সরকারের ‘ক্রীতদাসে’ পরিণত করার চেষ্টা করেছিলেন। ভার্মা যদি সত্যি দুর্নীতিতে জড়িত থাকেন, তাহলে কেন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল না? কেন তাঁকে হোমগার্ড ও দমকলের ডিজি-র মতো কম গুরুত্বপূর্ণ পদে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত? এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন সরকারের।