পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নাগরিকত্ব বিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত। বিক্ষোভের আঁচ লেগেছে অসমেও। গত কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই এদিন পড়ুয়ারা পথ অবরোধ কর্মসূচি নেওয়ায় আন্দোলনের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে গুয়াহাটি আইআইটি সামনে জড়ো হয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। বিলের প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভও দেখান বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বেশ কিছু কলেজের শতাধিক পড়ুয়াকে আটক করে পুলিস।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের বিধানসভা কেন্দ্র মাজুলিতে মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানান অসমিয়া যুব মঞ্চের সদস্যরা। বিক্ষোভে শামিল হন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের সদস্যরাও। আন্দোলনে যোগ দেন অসমে বাসরত ভিন রাজ্যের পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। যদিও উল্টো সুর শোনা গিয়েছে শিলচরের অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের গলায়। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিলের সমর্থনে একটি পোস্টার লাগিয়ে সরকারের পাশে দাঁড়ান তাঁরা।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হওয়া সংখ্যালঘু অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার লোকসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল, ২০১৬ পাশ হয়েছে। এরপরেই অসম সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে অসম সরকার। যাবতীয় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গুয়াহাটির বড় অংশে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। যদিও এই বিল প্রত্যাহার না করা হলে সরকারি বিধিনিষেধ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ মানবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার না করলে আমি ১৪৪ ধারা মানব না। মানুষকে নেতৃত্ব দিয়ে আমি জেলে যেতেও তৈরি।’ সরকারের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নির্দেশের ফলে রাজ্যবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।