বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অক্টোবর মাসে রাতারাতি নির্দেশ জারি করে অলোক ভার্মার সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল কেন্দ্র। তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। দুর্নীতি ইস্যুতে ডেপুটি রাকেশ আস্থানার সঙ্গে অলোক ভার্মার সংঘাতের জেরে সিবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। কিন্তু দু’দিন আগেই অলোক ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানোর সেই নির্দেশ খারিজ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে। দায়িত্বে ফেরেন সিবিআই প্রধান। যদিও তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সিলেকশন কমিটিকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অলোক ভার্মা দায়িত্বে ফিরতেই গতকাল তড়িঘড়ি সিলেকশন কমিটির বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তার প্রেক্ষিতেই এদিন সুর চড়ালেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট। এদিন ট্যুইটারে দু’টি প্রশ্ন রাখেন রাহুল। তাঁর প্রথম প্রশ্ন, সিবিআই প্রধানকে বহিষ্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী এত তাড়াহুড়ো করছেন কেন? দ্বিতীয় প্রশ্ন, সিলেকশন কমিটির সামনে প্রধানমন্ত্রী কেন সিবিআই প্রধানকে তাঁর বক্তব্য জানানোর সুযোগ দিচ্ছেন না? এরপর নিজেই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর দাবি, রাফাল চুক্তির কারণেই এসব করছেন প্রধানমন্ত্রী।
এরই মধ্যে রাফাল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগতে গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের নোটিসের মুখে পড়তে হল কংগ্রেস সভাপতিকে। এদিন রাহুলের নামে নোটিস ইস্যু করেছে মহিলা কমিশন। বিতর্কের নেপথ্যে জয়পুরে গতকালের সভায় করা রাহুল গান্ধীর একটি মন্তব্য। তিনি বলেন, ৫৬ ইঞ্চির ছাতি নিয়ে চৌকিদার পালিয়েছেন। এক মহিলা, সীতারামনজিকে (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) বলছেন, আমাকে বাঁচান। আমি নিজেকে বাঁচাতে পারছি না, আপনি বাঁচান। কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই তাঁর নামে নোটিস ইস্যু করে জাতীয় মহিলা কমিশন। রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। তাঁর ট্যুইট, নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের মাধ্যমে কী প্রমাণ করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী? তিনি কি মনে করেন মহিলারা দুর্বল? বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো মানুষটিকে দুর্বল বলা হচ্ছে, কী বৈপরীত্য। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই নোটিস ইস্যু করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই মন্তব্য চরম নারী বিদ্বেষী, অসম্মানজনক ও অনৈতিক। এর মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে মহিলাদের মর্যাদার প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। যদিও জাতীয় মহিলা কমিশনের এই নোটিসকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলল কংগ্রেস। দলীয় নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, দু’মুখো নীতি নিচ্ছে জাতীয় মহিলা কমিশন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে সোনিয়া গান্ধী প্রসঙ্গে ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ চালিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় কমিশন ঘুমিয়ে ছিল।
জয়পুরের কৃষক সভায় করা ওই মন্তব্য নিয়ে গতকালই রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে রাতের দিকে মোদিকে পাল্টা কটাক্ষও করেন কংগ্রেস সভাপতি। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, সম্মানীয় মোদিজি, আমাদের সংস্কৃতিতে মহিলাদের প্রতি সম্মান শুরু হয় বাড়ি থেকে। রাহুল গান্ধীর এই ট্যুইট স্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে খোঁচা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।