বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর পদ্মনাভনগরে নিজের বাসভবনে চন্দ্রবাবুকে স্বাগত জানান দেবেগৌড়া। উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীও। সেখানেই পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র এবং আরবিআই, সিবিআইয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষার জন্য বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা জরুরি হয়েছে পড়েছে। যে তদন্তকারী সংস্থা এতদিন স্বয়ংশাসিত ছিল, তাকেই এখন বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ শুধু তাই নয়, এদিন নোটবন্দির দ্বিতীয় বার্ষিকীতে সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনাও করেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, নোটবন্দির ফলে দেশের অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, আসন্ন লোকসভা ভোটে জয় পাওয়া নিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে যথেষ্ট আশাবাদী দেখিয়েছে এদিন। সম্প্রতি কর্ণাটকের উপনির্বাচনে জেডিএস জোটের অভূতপূর্ব সাফল্য যে তাঁকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে, তা কুমারস্বামীর মঙ্গলবারের মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওইদিন তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। এদিনও সেই বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করে কুমারস্বামী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটবে ২০১৯-এ।’ উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল কংগ্রেসের নেতৃত্বে এক ছাতার তলায় এসে ইউনাইটেড ফ্রন্ট গঠন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবগৌড়া।
তবে, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে কিছুটা বিরক্ত হন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কি রাহুল গান্ধী হবেন? উত্তরে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জানান, যৌথ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণার বিষয়টি এখনই ঠিক করার দরকার নেই। তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এবং রাজনীতি নিয়ে বেশি আগ্রহী। কিন্তু আমি গণতন্ত্র রক্ষায় আগ্রহী। এখানে স্বার্থের সংঘাত চলে আসছে।’ এ প্রসঙ্গে কুমারস্বামী জানান, এহেন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়োর মধ্যে নেওয়া ঠিক হবে না। তাঁর কথায়,‘একাধিক বিরোধী দলগুলিতে এমন অনেক নেতা রয়েছেন যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে দেশ চালানোর ক্ষমতা রাখেন। এটা নিয়ে আলোচনা পরেও হতে পারে। কিন্তু, বর্তমানে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বিরোধীদের জোটবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে বাঁচানো।’