বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
সব রাজ্যে কেরোসিনের বরাদ্দ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে ওয়েষ্ট বেঙ্গল কেরোসিন এজেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস জোয়ারদার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার মামলাটিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গিয়ে শুনানির জন্য নথিভুক্ত করেছে। প্রথম শুনানি হবে ২০ নভেম্বর। মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে কি না, সেটা প্রথমে নির্ধারিত হবে। অ্যাসোসিয়েশন চাইছে মামলাটি ফের হাইকোর্টে ফিরে আসুক। কারণ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটির শুনানি সম্পূর্ণ হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকার সেটিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের সিঙ্গল ও ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরে কোনও মামলা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তি দিচ্ছে, কেরোসিনের বরাদ্দর বিষয়টি সারা দেশের ব্যাপার। তাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটির ফায়সালা হওয়া উচিত। এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।
পশ্চিমবঙ্গের জন্য এখন কেরোসিনের মাসিক বরাদ্দ ৫৮ হাজার ৬৬৮ কিলোলিটার। কয়েক বছর আগেও এই পরিমাণ ছিল প্রায় ৮০ হাজার কিলোলিটার। কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা ধাপে ধাপে কমে যায়।
ভর্তুকিতে সরবরাহ করা কেরোসিনের সরবরাহ কমাতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের যুক্তি, ভর্তুকিতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যাপক হারে দেওয়া হচ্ছে। সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে কেরোসিনের প্রয়োজন কমে গিয়েছে। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে যে কেরোসিন সরবরাহ করা হয়, তার একটা বড় অংশ বেশি দামে বাইরে পাচার হয়ে যায়। এই কেরোসিন গাড়ির জ্বালানি পেট্রলে ভেজাল দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে বায়ু দূষণও বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কেরোসিনের উপর কিছুটা ভর্তুকি দেয়। তাছাড়া পাঁচ শতাংশ হারে জিএসটি ছাড়া কেরোসিনের উপর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কোনও কর নেই। তাই পেট্রলের তুলনায় এর দাম অনেক কম। কেরোসিন মেশানো পেট্রল বিক্রি তাই খুবই লাভজনক। কয়েক বছর আগেও লিটার প্রতি ১২ টাকা দরের কেরোসিন এখন রেশনে ৩০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কেরোসিন এজেন্ট ও ডিলারদের সংগঠনের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই ভূমিকায় ক্ষতি হচ্ছে গরিব মানুষের। রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হলেও তা নিয়মিত নেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতা বহু গরিব মানুষের নেই। কেরোসিন না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে কাঠ-কুড়ো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন।