কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বঙ্গ বিজেপির এমপিরা যাতে ভবিষ্যতে ফের এরকম আচরণ করতে না পারেন, তা সুনিশ্চিত করতে ওই চিঠিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ করেছে টিএমসি। তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মালা রায় সই করে চিঠিটি জমা দিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, স্পিকারকে বলার পরেও ভবিষ্যতে যদি ফের এরকম কিছু হয়, তাহলে বিজেপি এমপিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ‘প্রিভিলেজ মোশন’ আনারও চেষ্টা চালানো হবে।
গতকালের পর আজ লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হতেই ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার বিজেপি এমপিরা সরব হন। তৎক্ষণাৎ পাল্টা সোচ্চার হন তৃণমূল এমপিরাও। আসন ছেড়ে উঠে, ওয়েলের সামনে এসে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেন নিজের আসন ছেড়ে বাংলার বিজেপি এমপিদের কাছে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন, তা নিয়ে লোকসভার স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তঁারা। তারপরেই স্পিকার ওম বিড়লা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে সতর্ক করে দেন। বলেন, আপনি নিজের আসন ছেড়ে উঠবেন না।
একইসঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গ বিজেপির এমপিরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার প্রস্তুতি নিতেই স্পিকার তাঁদেরও বসিয়ে দেন। বলেন, আপনারা নতুন এমপি হয়ে এসেছেন। প্রশ্নোত্তর পর্বের পর নিয়ম মতো কিছু সংসদীয় কাজ থাকে। তা আগে হতে দিন। যখন নাম ডাকব তখনই বলবেন। তার আগে নয়। স্পিকারের সতর্ক বার্তায় চুপ করে যান বঙ্গ বিজেপির এমপিরা। অবশ্য পরে আবার তাঁরা সরব হতেই তৃণমূল এমপিদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। সৌগত রায় পরে বলেন, ভিত্তিহীন তথ্য তুলে ধরে সংসদের গরিমা ও মর্যাদা নষ্ট করতে চাইছে বাংলার বিজেপি এমপিরা। এভাবে এখানে এসব ইস্যু তোলা যায় না। সেই কারণেই স্পিকারকে চিঠি দিয়েছি আমরা।
অন্যদিকে, শুধুমাত্র উল্লিখিত বিষয় নিয়ে প্রতিবাদই নয়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে গোটা দেশে এনআরসি’র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, সংসদেও একইভাবে তা নিয়ে সরব হবে বলে ঠিক করেছে তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি হওয়ার পরেও বিজেপি এখন সেটিকে নাকচ করার কথা বলছে। গোটা দেশেও এনআরসি আনা হবে বলে সংসদেই ঘোষণা করেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ করে ‘নোট’ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সৌগত রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেই অবস্থান বজায় রেখেই তৃণমূল সংসদীয় দল স্থির করেছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল যেদিনই পেশ করা হবে, তখনই তীব্র প্রতিবাদ করা হবে সংসদের দুই কক্ষেই।