পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রের দাবি, আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামতে চাইছে দল। ১৮ জন এমপিকে দিয়ে প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যার কথা জাতীয় স্তরে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যবাসীর সঙ্গে আরও আত্মিক যোগসূত্র গড়ে তুলতে সংসদের উভয় কক্ষে এমপিদের বাংলা ভাষায় বক্তব্য পেশের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় নেতৃত্ব। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক বিবিধ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কত টাকা বরাদ্দ করেছে এবং তার কতটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার খরচ করতে সমর্থ হয়েছে, সেই হিসেবও ধারাবাহিক পেশ করা হবে। নেতৃত্ব জাতীয় পর্যায়ে এমন একটি আবহ তৈরি করতে চাইছে, যাতে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা বৈমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ কার্যত ভোঁতা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার প্রতি মোদি সরকারের কতটা ‘দরদ’, তা সহজেই রাজ্যবাসীকে বোঝানো যাবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এই অর্থ বরাদ্দের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, এই পরিসংখ্যান পুরোটাই অঙ্কের খেলা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যের জন্য দিল্লির সরকার যত টাকা বরাদ্দ করে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল বলে সাফ জানান তিনি। সুব্রতবাবুর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষের জন্য বাড়ি তৈরির রাজ্যওয়াড়ি একটা ‘কোটা’ বেঁধে দেয়। বাংলার ক্ষেত্রে সেই কোটা বরাদ্দ হয় খুবই কম। তা সত্ত্বেও কম কোটার মধ্যেও আমরা সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করি বলে অর্থ বরাদ্দে এক নম্বর স্থান পেয়েছি। মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলার আবাস-গীতাঞ্জলি সহ রাজ্যের টাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়তি বাড়ি তৈরি করে গরিব মানুষের হাতে তুলে দেন।