গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওই অভিযোগ পাওয়ার পরই খোদ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় প্রতিটি শাখাকে এই ব্যাপারে সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষকরা যাতে কৃষিঋণ পেতে পারেন, তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। কোনও শাখা অসহযোগিতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও যে দপ্তর পিছপা হবে না, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, খুব কম পরিমাণ সুদে কৃষকদের কৃষি ঋণ দিয়ে থাকে সমবায় ব্যাঙ্ক। মূলত জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক ও কৃষি সমবায় সমিতি এই ঋণ দেয়। কিন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় কিছু অফিসারের অসহযোগিতার জন্য কৃষকরা এই ঋণ থেকে বঞ্চিত হন। তার ফলে কৃষকদের বাইরে মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চাষ করতে হয়।
সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, বাংলার মানুষের পাশে সব সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় আছেন। বাংলার মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা নয়, তার দিকে তাঁর নজর আছে। দু’এক জন অফিসার কোনও ভুল করলে আমরা তার ব্যবস্থা নেব। কিন্তু, কৃষকদের কৃষি ঋণ পেতে কোনও অসুবিধা হবে না। বাংলার কৃষকদের আন্দোলনে পাশে থাকার ইতিহাস এই সরকারের আছে। সমস্ত ব্যাঙ্ককে আমরা বলে দিয়েছি, কৃষকরা যতে সহজেই কৃষি ঋণ পেতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
চলতি আর্থিক বছরেই প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ দিয়েছে সমবায় দপ্তর। আগামী আর্থিক বছরে এর পরিমাণ বাড়তে পারে। তার জন্য অর্থ দপ্তরের কাছে প্রস্তাব গিয়েছে। অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিলেই আগামী অর্থবর্ষে কত পরিমাণ কৃষি ঋণ দেওয়া হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু, আর কিছুদিনের মধ্যেই রবি শস্যের চাষ ও আলু চাষের সময় চলে এসেছে। এবার হাওড়া ও হুগলির একাংশে বন্যা ও বুলবুলের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হওয়ার কারণে কৃষিঋণ নিয়ে সরকার খুবই তৎপর। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলু চাষের জন্য দ্রুত কৃষি ঋণ দেওয়ার জন্য সমস্ত সমবায় ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলায় আলু চাষ হয়।
হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর ও হুগলির সিঙ্গুর, হরিপাল, ধনিয়াখালি, তারকেশ্বর, আরামবাগ, খানাকুল ও পুরশুড়ায় ব্যাপক পরিমাণে আলু চাষ হয়। বর্ধমান ও বীরভূমেও আলু চাষ ভালোই হয়। এবার এখন খোলা বাজারে আলুর দম বেশি। তার নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স কাজ শুরু করেছে। কিন্তু, চলতি বছরে আলু চাষ ভালো না হলে, আগামী বছর ফের দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে। সেই কারণে এবার আলু চাষে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে রবি শষ্যের চাষও যাতে ভালো করা যায়, তার জন্য কৃষকদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করতে ব্যাঙ্কগুলিতে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।