রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন কোচবিহারের সার্কিট হাউসে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার আধিকারিকদের নিয়ে গ্রন্থাগারমন্ত্রী বৈঠক করেন। তিনজেলার গ্রন্থাগারের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে কর্মীর সংখ্যা কম রয়েছে সেটা মেনে নিয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী দিনে কর্মী নিয়োগ করা হবে।
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, বইমেলায় প্রবেশের জন্য এবারে কোনও টিকিট লাগবে না। সব জেলাতেই আমরা বইমেলার একটিই থিম রেখেছি। সেটি প্রতিটি বইমেলার গেটে লাগানো থাকবে। রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে পাঠক বাড়ানোর জন্য ‘বই ধরো বই পড়ো’ প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি গ্রন্থাগারে বিনা পয়সায় সদস্য হওয়া যাবে। এক্ষেত্রে চার ধরনের কার্ড করা হয়েছে। আমরা গ্রন্থাগারগুলির শূন্যপদ পূরণ করব। এই মুহূর্তে ৩৩০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। তারমধ্যে ১০০০ শূন্যপদ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমার ধারণা, খুব তাড়াতাড়ি ৫০০টি পদে নিয়োগ হবে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বইমেলাগুলিতে ঢুকতে ন্যূনতম একটা প্রবেশ মূল্য লাগে। কিন্তু এবারে আর তা লাগছে না। বইমেলায় আসা বইপ্রিয়রা যাতে সরাসরি মেলা প্রাঙ্গণে চলে আসতে পারেন তারজন্যই এই উদ্যোগ গ্রন্থাগার দপ্তর নিয়েছে। কোন জেলায় কবে বইমেলা হবে তার একটি ক্যালেন্ডার সংশ্লিষ্ট দপ্তর তৈরি করে নিয়েছে। যাতে আগে থেকেই মানুষ জানতে পারে কবে কোথায় বইমেলা হবে সেজন্য প্রচারও করা হচ্ছে। অপরদিকে, বই ধরো বই পড়ো প্রকল্পের মাধ্যমে সারা রাজ্যে এক কোটি পাঠককে নতুন কার্ড দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে গ্রন্থাগার বিভাগ। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৮১ হাজার কার্ড দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে পাঁচলক্ষ কার্ড দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৮ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের ‘শিশুকার্ড’ দেওয়া হচ্ছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জেনারেল কার্ড, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রাজ্যের যেকোনও সরকারি গ্রন্থাগারে ঢুকে পড়াশুনা করার জন্য গ্লোবাল কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এই কার্ড করার জন্য কোনও টাকা লাগছে না। জলপাইগুড়ি জেলার ৭৩টি গ্রন্থাগারের মধ্যে পাঁচটি গ্রন্থাগার, কোচবিহার জেলায় ১১০টির মধ্যে ৩৭টি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার ৩৭টি গ্রান্থাগারের মধ্যে ন’টি গ্রন্থাগার এখন বন্ধ হয়ে রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জলপাইগুড়ি জেলার গ্রন্থাগার উন্নয়নের জন্য ১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা, কোচবিহারের জন্য ২ কোটি ২১ লক্ষ টাকা এবং আলিপুরদুয়ারের জন্য ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে কি না, কাজ যাতে দ্রুততার সঙ্গে শেষ হয় সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।