পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, https://ssdl2020.questionpro.com লিঙ্কটি সাধারণ মানুষের মোবাইলে চলে যাবে। এই লিঙ্ক পাওয়ার পর তা খুলেই প্রথমে পছন্দের ভাষা বাংলা বা ইংরেজি পছন্দ করতে হবে। প্রবেশের পর প্রশ্নসূচি পর্যন্ত পৌঁছনোর আগে ওয়েবসাইটে ঢুকে নিজের নাম, মেল আইডি দিতে হবে। এরপর সেখানেই নিজের মতামত দিতে পারবেন আপনিও। পরে ৬ থেকে ১০ বছর, ১১ থেকে ১৭ বছর, ১৮ থেকে ২৩ বছর, ২৪ থেকে ৩৯ বছর, ৪০ থেকে ৫৯ বছর ও ৬০ বছরের বেশি এভাবে বয়স অনুযায়ী গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। নিজের বয়সের গ্রুপ চিহ্নিত করার পরেই বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে পৃথক প্রশ্ন তালিকা।
এই প্রশ্ন তালিকার প্রথমেই ভেসে আসছে, আপনি কি কখনও ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচার সম্পর্কে শুনেছেন? কোথায় আপনি এই প্রচার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন? আপনি কি ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’ প্রচার সম্পর্কে কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন? আপনার কি মনে হয় এই প্রচারটি ফলপ্রসূ হয়েছে? হেলমেট ছাড়া, পেট্রল মিলবে না (নো হেলমেট, নো পেট্রল) এই যোজনা পথ দুর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করেছে? আপনার কি বৈধ চালক লাইসেন্স রয়েছে? আপনার কি মনে হয়, এই পথ নিরাপত্তার প্রচার জনসাধারণকে সড়কের আইনবিধি ভঙ্গ করার হার ও প্রবণতা কমাতে পেরেছে? রাস্তার মোড়ে কমলা আলোর সঙ্কেত কী? এছাড়া পিছনে সঙ্গীকে বসিয়ে হেলমেট বিহীন দ্রুত গতিতে স্কুটি চালানো, সিট বেল্ট না পরে গাড়ি চালানো এবং দ্রুত গতিতে যানবাহন ছুটে চলার সময় দৌড়ে রাস্তা পারাপার করার মতো প্রতীকী একাধিক ছবির মাধ্যমে জানতে চাওয়া হবে মতামত।
বাঁকুড়া জেলা পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে প্রচারের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে কতটা সচেতনতা বেড়েছে তা যাচাই করতেই দপ্তরের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৮ নভেম্বর দপ্তরের নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই আমরা ওই লিঙ্কটি দপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি, বিডিও ও পুলিস আধিকারিকদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এই সার্ভের মাধ্যমে পথ নিরাপত্তা নিয়ে মানুষ কতটা সচেতন হয়েছেন সেই সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে মানুষকে সচেতন করতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পরিবহণ দপ্তর ও পুলিসের তরফে নো হেলমেট, নো পেট্রল নিদানে হেলমেট ছাড়া পেট্রল পাম্প গিয়ে তেল ছাড়াই ফিরতে হয়েছে মানুষকে। যদিও গত কয়েক মাস ধরে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি কিছুটা হলেও ঝিমিয়ে গিয়েছে। এখন বিনা হেলমেটেই পেট্রল নিতে দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়া জেলার সর্বত্র। একইভাবে পুলিসের কড়াকড়ি কিছুটা কমায় জেলায় বাইক আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারের প্রবণতাও ফের কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া রাজ্যের বহু মানুষ আজও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না, অথচ রাস্তায় গাড়ি চালান। এক্ষেত্রে তাঁদের মতামত জানা যাবে কীভাবে। তাই সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ কর্মসূচির সাফল্যের রিপোর্ট পেতে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের এই সমীক্ষায় কী ফল বের হয় সেটাই এখন দেখার।