পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে সরকারের এই উদ্যোগে ব্যবসায়ী মহল পুরোপুরি খুশি নয়। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি হিমঘরের আলু বের করার ব্যাপারে সরকারকে কিছুটা নমনীয় হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তে কৃষকদের সমস্যা বেশি হবে। হিমঘরে এখন যে আলু আছে, তার বেশিরভাগটাই কৃষকদের বলে তাঁর দাবি। সংগঠনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। তবে কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রের খবর, হিমঘরে আলু রাখার ব্যাপারে নিজে থেকে তারা কোনও পদক্ষেপ নেবে না। নবান্নর নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩০ নভেম্বরের পর হিমঘরে আলু রাখার সময় আরও বৃদ্ধির দাবি সংগঠন তুলছে না। কিন্তু যেভাবে কৃষি দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর খালি করতে বলেছে, তাতে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে সংগঠন মনে করছে। সরকারের ওই নির্দেশিকা দেখিয়ে হিমঘর মালিকরা আলু বের করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই নির্দেশিকা জারি না হলে স্থানীয়ভাবে বোঝাপড়া করে নিয়ে কিছুদিন আলু রেখে দেওয়া হতো। কিন্তু এখন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশঙ্কায় হিমঘর মালিকরা ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
ভিন রাজ্যে এখন আলুর খুব বেশি চাহিদা নেই। বীজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য বেশি পরিমাণে আলু এখন হিমঘর থেকে বের হবে। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে যে প্রায় ১০ লক্ষ টন আলু এখন হিমঘরে আছে, তা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বের হওয়ার কথা নয়। এই অবস্থায় হিমঘর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব আলু বের করতে গেলে, তার একটা বড় অংশ বাইরের শেডে ফেলে রাখতে হবে। হিমঘরের মধ্যে কনকনে ঠান্ডায় আলু ভালো থাকে। কিন্তু বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আলু পড়ে থাকলে সাত-দশদিনের মধ্যে খারাপ হতে শুরু করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
তার উপর হিমঘরে মজুত আলু দিয়ে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাজারের চাহিদা মেটাতে হবে। ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে উৎপাদিত নতুন আলু বাজারে এলেও তার পরিমাণ খুব বেশি হবে না বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। জানুয়ারি থেকে নতুন আলু বেশি পরিমাণে আসতে শুরু করবে। পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের নতুন আলু এখন সবে উঠছে। সেখানেও বেশ চড়া দাম আছে। ভিন রাজ্য থেকে নতুন আলু আনলে এখন তার দাম ২৪-২৫ টাকার আশপাশে পড়বে।