গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী, ডেঙ্গুর চিকিৎসা শুধু সরকারি হাসপাতালে কেন? জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকদিন আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর খবর পেলাম। খোঁজ নিয়ে জানলাম, একজন অসুস্থ হয়েছিলেন। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। সঠিক রোগ নির্ণয় না হওয়ায় মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে সচেতনতা, জল জমতে না দেওয়া, আবর্জনা সাফ করা এবং সরকারি হাসপাতালে গিয়ে অ্যালাইজা পদ্ধতিতে চিকিৎসা করানোটাই জরুরি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদহের রথবাড়িতে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মশাবাহিত রোগের প্রসঙ্গ উত্থাপন পর্বে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, জমা জল আর আবর্জনা সাফাইয়ের জন্য অভিযান চালাও। বাধা দিলে, আইনগত ব্যবস্থা নাও। মানুষের জীবন বাঁচানোটা সবচেয়ে জরুরি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বেশ কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার দপ্তরে আবর্জনা, জল ইত্যাদি জমে আছে। পুরকর্মীরা সেগুলি পরিষ্কারের জন্য গেলে অনেক ক্ষেত্রেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বিএসএফ-এর অফিসের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কর্মীদের কাজ করতে দিন। ডেঙ্গুকে মোকাবিলা করতে হলে সবাইকেই সহযোগিতা করতে হবে।
মালদহে মশা বৃদ্ধি নিয়ে তিনি নিজেও যে বিরক্ত, এদিন তা বৈঠকেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এদিন বিকেলে সেচ দপ্তরের বাংলোয় গিয়েছিলাম এক কাপ চা খাব বলে। সেখানে এত মশা ভন ভন করছে যে, বসতেই পারলাম না। এর মধ্যে কোনটা ডেঙ্গুর আর কোনটা ম্যালেরিয়ার সাধারণ মানুষ বুঝবে কী করে। জল জমতে না দেওয়া আর ময়লা-আবর্জনা সাফ করলেই এর থেকে অনেকটা রেহাই মিলতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে অনেকে হইচই করছেন, সমালোচনা করছেন। সবাইকে বলব, এটা তো সরকারের প্রচার আর অভিযানে কমবে না। সবার সহযোগিতা আর সচেতনতাও জরুরি। এই প্রসঙ্গে বিগত বছরগুলিতে মশাবাহিত রোগে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায় ১৯৯৫ সালে ৮৭ জন, ১৯৯৬ সালে ৫৬ জন, ১৯৯৭ সালে ৯৪ জন, ১৯৯৮ সালে ৭৭ জন, ১৯৯৯ সালে ১৪৪ জন, ২০০০ সালে ১০৩ জন, ২০০১ সালে ১৯১ জন, ২০০২ সালে ১৫২ জন, ২০০৩ সালে ২১৪ জন, ২০০৪ সালে ১৯৬ জন, ২০০৫ সালে ১৭৫ জন, ২০০৬ সালে ২০৩ জন, ২০০৭ সালে ১৮২ জন এবং ২০০৮ সালে মারা গিয়েছিলেন ১০৪ জন। আর চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২৩ জন।