বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দিন দশেক আগে যে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছিল রাজ্য, সেই বুলবুলের জেরে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই। সেই ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপের রূপ নিয়ে বাংলাদেশের দিকে পাড়ি দেওয়ার পর বাতাস শুষ্ক হতে শুরু করে একটু একটু করে। দিনের বেলায় তেমন শীত অনুভূত না হলেও, রাতের দিকে বা সকালে শীতের আমেজ মিলতে শুরু করেছে শহর ও শহরতলিতে। জেলায় অবশ্য একটু বেশি শীত অনুভূত হয়। কিন্তু এখনই একে শীত বলে ডাকতে রাজি নয় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে এই শীত শীত ভাব আপাতত জিইয়ে থাকবে বলেই জানিয়েছে তারা। যদিও হাওয়া অফিসের রেকর্ড বলছে, কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। শুধু কলকাতাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ এলাকাতেই তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি ছিল। যদিও উত্তরবঙ্গ আরও একটু হতাশ করেছে সেখানকার বাসিন্দাদের। কারণ সেখানকার জেলাগুলিতে এখনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দু’ থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। যেমন, বালুরঘাটে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় তা পাঁচ ডিগ্রি কম। আবার দার্জিলিংয়ে পারদ ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলেও, সাধারণত এই সময় তাপমাত্রা আরও তিন ডিগ্রি কম থাকে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা।
আবহাওয়াবিদদের কথায়, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা নামতে থাকলে, তার প্রভাব এসে পড়তে শুরু করে এরাজ্যে। সেখানে হিমেল হাওয়া যত বেশি বয়, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমা বায়ু তত বাংলার দিকে এগিয়ে আসে। সেই কনকনে উত্তুরে হাওয়ার পরিস্থিতি এখনই না থাকলেও, শীত শীত ভাব সামান্য বাড়বে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, এখন আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ থাকবে রৌদ্রোজ্জ্বল। আর তার হাত ধরেই শীতের আমেজ পরখ করবেন সাধারণ মানুষ। তবে চড়া রোদে দিনের বেলা একটু কষ্ট হতে পারে। শীতের রোদ পোহানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।