পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রেশন ব্যবস্থায় আধার বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তারপরও আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে ফের আইনি লড়াই শুরু হতে চলেছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন এটা নিয়ে চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু আইনি পরামর্শ নিয়ে জেনেছেন, এখনও মামলা করার সুযোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রেশন ডিলারদের পক্ষ থেকে আধার সংযুক্তিকরণ ও রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস যন্ত্রের বাধ্যতামূলক ব্যবহার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হচ্ছে। অন্যদিকে, গুজরাতের রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফে ভর্তুকির টাকা গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর (ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার বা ডিবিটি) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হচ্ছে। গুজরাতের সংগঠনের প্রধান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাই প্রহ্লাদভাই মোদির তরফে ওই মামলাটি দায়ের করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আধার ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্যতামূলক করলেও ডিবিটি-র বিষয়টি রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগেই কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে, রেশনে ডিবিটি তারা করবে না। কয়েকটি কেন্দ্র শাসিত এলাকায় এই ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত চালু হয়েছে।
তবে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে আধার সংযুক্তিকরণ ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করার ব্যাপারে রাজ্য সরকার এখন খুবই আগ্রহী। নবান্নে সাম্প্রতিক প্রশাসনিক বৈঠকে ইলেকট্রনিক যন্ত্র দ্রুত চালু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই যন্ত্র রাজ্যের সব রেশন ডিলারকে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সবাই তা চালু করেনি।
গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ করা হচ্ছে রেশন দোকানের ইলেকট্রনিক যন্ত্রে। এই যন্ত্রে আঙুলের ছাপ নথিভুক্ত করতে হবে। গ্রাহকের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আধার নম্বর যাচাই করে রেশনে ভর্তুকির খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে। কিন্তু গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজ এখনও শুরু হয়নি। এই কাজও দ্রুত করা হবে বলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের খামতির জন্য অনলাইনে যন্ত্র কাজ না করলে সমস্যা হবে বলে রেশন ডিলারদের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় নেটওয়ার্কের সমস্যা হতে পারে। উত্তরপ্রদেশে এই সমস্যার জন্য বহু গ্রাহক রেশন পাচ্ছেন না। সেখানকার মানবাধিকার কমিশন এব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। তবে রাজ্য খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য আধার যাচাই ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র চালাতে সমস্যা হলে বিকল্প ব্যবস্থা থাকছে। কোনও গ্রাহক কখনওই খালি হাতে ফিরে যাবেন না।