পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
খোলা বাজারের তুলনায় সরকারের কাছে ধান বিক্রি করলে বেশিরভাগ সময় বেশি দাম পাওয়া যায়। ডিসেম্বর মাসে যখন প্রচুর পরিমাণে নতুন ধান উঠতে থাকে, তখন দামের ফারাক বেশি থাকে। কখনও কখনও সরকারি নির্ধারিত দাম খোলবাজারের তুলনায় প্রতি কুইন্টালে তিনশো-চারশো টাকা বা তারও বেশি থাকে। স্বাভাবিকভাবে সরকারি ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলেই ফড়েরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। কৃষকদের থেকে অনেক কম দামে ধান কিনে সরকারের কাছে তা বিক্রি করে তারা। ফড়ে ঠেকাতে ইতিমধ্যে অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজনের কাছ থেকে ধান কেনার ঊর্ধ্বসীমা ৯০ কুইন্টালে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবুও ফড়েদের পুরোপুরি আটকানো যায়নি।
এবার তাই আরও কড়া হচ্ছে সরকার। ধান কেনার ক্ষেত্রে এবার প্রথম কৃষি দপ্তরের কৃষক বন্ধু প্রকল্পটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতেও ফড়েদের আটকে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনায় সুবিধা হবে বলে মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে যে কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে ধান কেনার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি দপ্তরের কাছ থেকে ওই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকদের তথ্য নিয়েছে খাদ্য দপ্তর। খাদ্য দপ্তর সূত্রে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে ধান বিক্রির জন্য যে কৃষকরা নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আছেন। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ধান বিক্রির জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন মোট ৬৬ হাজার ৬৫৯ জন। এর মধ্যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আছেন ৫৩ হাজার ৩৯ জন। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের পরিচয়পত্র দেখিয়ে নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। প্রকল্পের বাইরে থাকা কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, জমির মালিকানার নথি সহ অন্য পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে।