কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সারদাকাণ্ডে অনেক নথিই রাজ্য সরকারের তৈরি সিটের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি বলে দাবি সিবিআইয়ের। যার মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপ, মোবাইল, ডায়েরি সহ বেশকিছু জিনিস। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে নোটিস যায় রাজ্য পুলিসের কাছে। সিট জানিয়ে দেয়, যে সমস্ত জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার সবটাই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিবিআই কর্তারা জানতে পারেন, এখনও অনেক জিনিস সিটের হাতে রয়ে গিয়েছে। তা জানতেই বিধাননগরের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান তথা সিটের সদস্য অর্ণব ঘোষকে প্রথম ডেকে পাঠায় সিবিআই। অর্ণববাবু সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজির হন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন সিটের এক সদস্য কয়েকটি ট্রাঙ্ক নিয়ে হাজির হন সিজিও কমপ্লেক্সে। সেগুলি কোথায় রাখা রয়েছে, তার তথ্য বিধাননগরের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান দেন বলে সিবিআইয়ের বক্তব্য। সেখান থেকে সারদার জমির কাগজপত্র মেলে। যা এর আগে কখনও পাওয়া যায়নি।
এরপরই সুদীপ্ত সেনকে মাসখানেক আগে জেরা করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তদন্তকারী অফিসারদের কাছে তিনি চাঞ্চল্যকর বয়ান দেন। সারদাকর্তা দাবি করেন, কাশ্মীর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ল্যাপটপ, মোবাইল, টাকার ব্যাগ, একটি ডায়েরি সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এর আগে দেবযানীও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে একই বয়ান দেন। তার ভিত্তিতে কাশ্মীরে তল্লাশিতে যে সমস্ত অফিসাররা গিয়েছিলেন, তাঁদের ডেকে একপ্রস্থ জেরা করা হয়। তাঁরা সকলেই জানিয়ে দেন, এই সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, সিটের সদস্য তথ্য বিধাননগরের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানকে ডেকে পাঠানো হবে। তল্লাশি সংক্রান্ত তথ্য তাঁর কাছে থাকবে বলে ধরে নেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। বৃহস্পতিবার তিনি সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। এক সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে কী কী মিলেছিল, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। বাজেয়াপ্ত জিনিস কোথায় গেল সেই প্রশ্নও করা হয়। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে তিনি সিবিআইকে জানিয়েছেন, তল্লাশিতে যে সমস্ত জিনিস মিলেছে বলে তাঁকে জানানো হয়েছিল, তার সবটাই সিবিআইকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল, ল্যাপটপের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। এ নিয়ে তাঁর বসই বলতে পারবেন। তাঁর মাথায় শীর্ষকর্তা ছিলেন। অর্ণববাবুর কৌশলী জবাব, যেহেতু এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই অনেক বিষয়ই বস সরাসরি দেখভাল করতেন। এগুলির বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তবে তিনি তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। বেশ কিছু নতুন তথ্য দিয়ে গিয়েছেন। যা তদন্তে গতি আনবে বলেই সিবিআই আধিকারিকদের ব্যাখ্যা।