বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের দাবি, বছর ঘুরলেই কলকাতা সহ রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট। যাকে গেরুয়া শিবির ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে। সেই কারণে স্থানীয় ইস্যু ভিত্তিক মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার কথা তুলে লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই বুধবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছিল বিজেপি। পাশাপাশি কাটমানির মতো জাতীয় স্তরে চর্চিত বিষয়টিকে মানুষের মনে ফিরিয়ে আনতে চাইছে পদ্ম শিবির। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করলে আমাদের ডেঙ্গু নিয়ে নামতে হতো না। কারণ, শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে অবৈধ নির্মাণ রমরমিয়ে চলছে। যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হচ্ছে। যা প্রাণঘাতী মশার আতুঁড়ঘর হয়ে উঠেছে। রাজুর কথায়, তৃণমূলের পুর প্রতিনিধিরা নিজেদের এলাকায় অবশ্যই ঘুরছেন। তবে এই অবৈধ নির্মাণ কিংবা বেআইনিভাবে সামগ্রী ফেলে রাখা নিয়ে তাঁদের হেলদোল নেই। এই সমস্ত প্রজেক্ট থেকে কত টাকা তোলা আসবে, সেই হিসেব করতেই তাঁরা ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির নেতা। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও কাটমানির তত্ত্বকে ফের সামনে আনতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে আসন্ন বিধানসভা উপ-নির্বাচনের আগেই ফের রাজপথে দেখা যেতে পারে বিজেপি নেতা-কর্মীদের। রাজুর কথায়, তৃণমূলকে আমরা এতটুকু স্বস্তি দেব না। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন বিবিধ সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্যার প্রতিকার চাইতে ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যে থাকবে দল। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, ভোটের মরশুম যত এগিয়ে আসবে– বিজেপির তরফে আন্দোলনের তীব্রতা তত বৃদ্ধি পাবে।