গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্কুলের কাছেই দুষ্কৃতী হামলার শিকার স্মিতা ২০১৮ সাল থেকে স্ত্রী-রোগ সমস্যায় ভুগছেন। যে হামলা করেছিল, সে ২০১৪ সালেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এই তথ্য উল্লেখ করে তাঁর আইনজীবী বিশ্বরূপ বিশ্বাস আদালতকে জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৫ সালের জেনারেল ট্রান্সফার রুল অনুযায়ী তিনি বদলির আবেদন করেছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বারংবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই প্রসঙ্গে চিঠি দিয়েছেন। আগস্ট মাসে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সহ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনারকেও চিঠি দেন।
জবাবে রাজ্য দাবি করে, তাঁর প্রতি সাম্প্রতিককালে কোনও হামলা হয়নি। তাও তাঁকে পুলিসি সহযোগিতা দেওয়া হয়। এদিকে মামলার নোটিস পেয়েও ওই বিদ্যালয়ের কোনও প্রতিনিধি এজলাসে হাজির হননি। এই অবস্থায় বিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান শিক্ষকের প্রতি আদালতের নির্দেশ, মামলাকারীর নিরাপত্তা যেখানে প্রশ্নের মুখে, সেখানে তাঁরা ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দেবেন। সরকারকে তার ভিত্তিতে তিন সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাঁর যোগ্যতা দিয়ে প্রশ্ন না থাকলে ওই সার্টিফিকট/সুপারিশ এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠাতে হবে জেলা স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)-এর কাছে। ডিআই তা পাঠাবেন স্কুলশিক্ষা দপ্তরে। এরপর কমিশনকে পরবর্তী তিন সপ্তাহের মধ্যে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।
এদিকে স্কুলশিক্ষা দপ্তর তাঁর বদলির আবেদন খারিজ করায় দিব্যজ্যোতির তরফে বলা হয়, এই আদালতই ৩০ জুলাই তাঁর পক্ষে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা মানেনি স্কুলশিক্ষা দপ্তর। তাঁর অসুস্থতা সংক্রান্ত যে নথি পরীক্ষা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বদলিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল, তা ওই দপ্তরের সচিব নতুন করে পর্যবেক্ষণ করে আবেদনটি খারিজ করেছেন।
রাজ্যের পাল্টা বক্তব্য শোনার পর আদালত তার রায়ে বলেছে, স্কুল পরিচালন কর্তৃপক্ষ মামলাকারীর আবেদন চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করানোর পর যে সদর্থক সিদ্ধান্ত ডিআইকে পাঠিয়েছে, তারপর বিষয়টি নতুন করে খতিয়ে দেখার দায় কারুর নেই। কারণ, সংশ্লিষ্ট আইনে এমন বদলির আবেদন সূত্রে ডিআই বা অন্যান্য সরকারি দপ্তরের ভূমিকা স্পষ্ট বলে দেওয়া আছে। তাই স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্ত খারিজ করে আদালত বলেছে, কমিশনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পাঠিয়ে দেবেন ওই দপ্তরের সচিব। কমিশন পরবর্তী তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।