পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস এদিন বলেন, ‘বুলবুল’ এখন উত্তর অভিমুখে এগচ্ছে। শনিবার সকালে সেটি উত্তর-পূর্বে কিছুটা বাঁক নেবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল অঞ্চল তথা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় এক থেকে দু’ মিটার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সময়ে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা সহ উপকূল অঞ্চলে .৫ থেকে ১ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ঝোড়ো বাতাসের প্রবাহ টের পেতে শুরু করেছে মানুষ। গণেশবাবু জানান, আজ সকাল থেকে এই ঝোড়ো বাতাসের দাপট বাড়বে। সঙ্গে থাকবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়ার গতি ৫০-৬০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। সুন্দরবন এলাকায় ঝোড়ো বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০-১৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এর ফলে সুন্দরবন এলাকা তছনছ হতে পারে আশঙ্কা করে আগাম নানা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হবে। কলকাতাতেও আজ ব্যাপক বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার কর্মীদের পাশাপাশি উপকূলবর্তী তিন জেলার এসডিও, ডিএম এবং বিডিও অফিসের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। কলকাতা পুরসভাও জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের প্রস্তুত রেখেছে। নিকাশি, উদ্যান বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।