পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শহরের মধ্যে দিয়ে বাবার সঙ্গে যাতায়াত করতে গিয়েই দূষণ নিয়ে চিন্তা মাথায় এসেছিল কিশোর অভিজ্ঞানের। আগে থেকেই নানান মডেল তৈরি করার অভ্যেস থাকায় এই বিষয়টি নিয়েও চর্চা শুরু করে সে। তারপরেই সেন্সর ব্যবহার করে দূষণ নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়ার পদ্ধতি সে উদ্ভাবন করে। ওই কিশোর জানিয়েছে, তার তৈরি করা মডেলটি কোনও বাইক বা গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া কখন দূষণমাত্রা ছড়াচ্ছে তা পরিমাপ করবে। সেই মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই চালক মোবাইলে মেসেজ পাবেন। একইভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা থানাকে জুড়ে দেওয়া হলে সেখানেও মেসেজ যাবে। তাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গাড়িটিকে চিহ্নিত করতে পারবে। এই মডেলটিই কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞানসহ একাধিক মন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত বিজ্ঞান উৎসবে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে।
গত অক্টোবরে এই প্রতিযোগিতার জন্যে অভিজ্ঞান মনোনয়ন পেশ করে। কর্তৃপক্ষ সাতটি বিষয়ের উপরে উদ্ভাবনী প্রতিভা দেখানোর জন্যে সুযোগ দিয়েছিল। অভিজ্ঞান আধুনিক শহর নিয়ে একটি বিষয়ের উপরে তার মডেল পেশ করে এবং প্রাথমিক নির্বাচনে তা মনোনীত হয়। এরপরই গত ৭ নভেম্বর কলকাতায় মূল প্রতিযোগিতায় তার বিভাগের সেরা মডেল হিসাবে অভিজ্ঞানের দূষণবিরোধী মডেলটি নির্বাচিত হয়। বৃহত্তর মঞ্চে সাফল্যের জেরে উচ্ছ্বসিত হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। সে বলে, প্রথমের স্বীকৃতি থেকেও বেশি খুশি হয়েছি বিচারকদের প্রশংসা পেয়ে। আধুনিক পৃথিবীর বড় সমস্যা দূষণ। তা যদি প্রতিরোধ করতে আমার যন্ত্র ভূমিকা নেয় তবে আরও ভালো লাগবে। খুদের বাবা অনিন্দ্যকিশোর দাস বলেন, ট্রেনের চালক আচমকা ঘুমিয়ে গেলে ট্রেন নিজেই থেমে যাবে এমন একটি মডেল ছেলে আগেই তৈরি করেছিল। সেটির জন্যে আমরা পেটেন্ট চেয়েছি। এবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য এল। ওর এই চেষ্টাকে আমরা সবসময়েই উৎসাহ করি।