সংবাদদাতা, রামপুরহাট: বুধবার দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে পূজিত হলেন মা তারা। এই উপলক্ষে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ঢল নামে সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে। কথিত আছে, তারা মায়ের মধ্যেই সব দেবী বিদ্যমান আছেন। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রীকে তারামায়ের সঙ্গে অভেদ কল্পনা জ্ঞানে পুজো নিবেদন হয়ে আসছে। এদিন বিকেল ৩টে থেকে মাকে ডাকের সাজ ও স্বর্ণালঙ্কারে রাজবেশে জগদ্ধাত্রী রূপে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়। সেই সময় ভক্তদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। ৪টে থেকে মাকে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো শুরু হয়। সানাই, নানারকম বাজনা, সেই সঙ্গে জয়তারা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মন্দির চত্বর। পুজো চলাকালীন মায়ের আরতি ও শীতল ভোগ নিবেদন করা হয়। দেওয়া হয় ছাগবলি। একই দিনে টানা সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো হওয়ায় পুণ্যার্থীরা গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারেননি। ভক্তদের ভিড় যাতে না জমে যায় সেজন্য বাইরে মায়ের চরণ রাখা হয়েছিল। পুণ্যার্থীরা যাতে মাকে দর্শন করে চরণে পুজো নিবেদন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ৭টা পর্যন্ত জগদ্ধাত্রী দেবীর পুজো চলে। পরে মাকে খিচুড়ি ও বলির পাঁঠার মাংস, পায়েস দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, বহু ভক্ত মা তারাকে রাজবেশে জগদ্ধাত্রীর রূপ দেখতে ভিড় জমান। অন্যদিকে, জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নাটমন্দিরে কুমারী পুজোর আয়োজন করেন মন্দিরের পাণ্ডা তারক রায়। এলাকার মৌলি চট্টোপাধ্যায় ও ময়ূরাক্ষী রায় নামে দুই কুমারীকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে পুজো নিবেদন করেন।
অপরদিকে, এদিন সিউড়ি, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, বোলপুর প্রভৃতি শহরে জগদ্ধাত্রী আরাধনায় মাতেন বাসিন্দারা। সিউড়িতে বড় কালীবাড়িতে কুমারীপুজো ঘিরে আলাদা আকর্ষণ ছিল।