দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বছর থেকে এই সুবিধা চালু করা যায়, সেজন্য
আপ্রাণ চেষ্টা করবে মন্ত্রক। শ্রম মন্ত্রক সূত্রেই এই খবর জানা গিয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা পরিষেবার বর্তমান করুণ অবস্থার বিষয়টি নিয়ে স্বয়ং শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার বেশ বিচলিত। বিষয়টি তাঁর গোচরে আনেন রাজু বিস্তা ও জন বার্লার মতো উত্তরবঙ্গের চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার দুই বিজেপি এমপি। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত দেন টিইউসিসি নেতা এসপি তেওয়ারির মতো কয়েকজন শ্রমিক নেতাও। সম্প্রতি এনিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের আলাদা করে বৈঠকও হয়। তারপরই মন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হন এব্যাপারে। মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের এনিয়ে একটি নোট তৈরিরও নিদান দেন তিনি। উৎসব মরশুম শুরুর আগেই বিষয়টি নিয়ে কিছু কাজ এগিয়ে রাখতে চান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সবুজ সঙ্কেত পেলে এনিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও করতে চান গঙ্গওয়ার। রাজু বিস্তারা চাইছেন, দেওয়ালির পর শিলিগুড়িতে নির্মীয়মাণ একটি ইএসআই হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার সময় মন্ত্রী এই ঘোষণা করুন। পাশাপাশি সে সময় চা বাগানের শ্রমিকদের সামগ্রিক সমস্যা ও শিল্পের প্রকৃত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি যাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন, সেজন্যও দার্জিলিংয়ের এই বিজেপি এমপি সচেষ্ট হয়েছেন।
শ্রম মন্ত্রক সূত্রের খবর, বর্তমানে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক বা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা পরিষেবার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বাগান কর্তৃপক্ষের। স্থানীয়ভাবে রাজ্য সরকারের তরফে বাগানের চিকিৎসালয়গুলিতে কিছু ওষুধ দিয়ে সাহায্য করা হয়। কিন্তু বাস্তব হল, খাতায়-কলমে এই পরিষেবা বাবদ যে খরচ শ্রমিক পিছু দেখানো হয়, তার অনেক কম টাকা সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যয় করেন অধিকাংশ বাগানমালিক। ফলে কঠিন রোগের ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা প্রায় পান না শ্রমিক বা তাঁদের পরিবার। অথচ টি প্ল্যানটেশন অ্যাক্টের আওতায় চা শিল্প থাকায় এই শ্রমিকরা ইএসআইয়ের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবাও পান না। এই অবস্থায় শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে বেশ কিছু সময় ধরেই চা শিল্পকে মরশুমি তকমার তালিকার বাইরে আনার দাবি উঠেছে। কারণ, তালিকার বাইরে এলে তবেই চা-কে অন্যান্য শিল্পের সম মর্যাদা দেওয়া সম্ভব হবে শ্রম আইন অনুযায়ী। এবার সেই রাস্তায় হাঁটার দিকেই এগচ্ছে মোদি সরকার। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করলে রাজনৈতিকভাবেও উত্তরবঙ্গে স্থায়ী জমি তৈরির পথে অনেকটাই এগতে পারবে তারা— এমনটাই মনে করছে দিল্লির শাসকদল। তাঁদের প্রস্তাব ও কেন্দ্রের ইতিবাচক সাড়া নিয়ে রাজু বিস্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি এবং জন বার্লা বিষয়টি নিয়ে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। উনি নিজেও চা শ্রমিকদের ইএসআই-এর অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে সম্মত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সরকারি স্তরে এনিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে এগনোর ব্যাপারে।