দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
সারদা তদন্তে দেবযানী ও সুদীপ্ত সেনের বয়ান বড় ভরসা তদন্তকারী অফিসারদের। কারা কারা এই চিটফান্ড সংস্থাকে ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করেছিল, তার নির্দিষ্ট তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। শুধু তাই নয়, দেবযানীর কাছ থেকে কী কী নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তাও জেনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে দেবযানী জানিয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে সিডি, মোবাইল ও পেন ড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি সিবিআইকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এগুলি নিয়ে সিটের কাছে বারবার তথ্য চাওয়া হলেও তা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে সিবিআই। ঘটনাচক্রে সেই সময় সিটের সমস্ত কাজকর্ম দেখভাল করতেন রাজীব কুমার। এসব জানতেই তাঁকে ডাকে সিবিআই। তিনি এখন আড়ালে রয়ে গিয়েছেন। তাই এগুলি কোথায় গেল, তা জানা সম্ভব হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে। তাতে টাকার লেনদেন থেকে শুরু করে প্রভাবশালীদের যোগের বিষয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে নিশ্চিত সিবিআই। যে কারণে তা গোপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেবযানী এও জানিয়েছেন, তাঁর মা রাজ্য পুলিসকে তথ্য দেন তিনি ও সুদীপ্ত কাশ্মীরে রয়েছেন। তাঁদের ধরার একদিন পর খাতায়-কলমে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, কেন তা করা হল? বিষয়টি চার্জশিটে উল্লেখ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
পাশাপাশি দেবযানী সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছেন, সারদার ব্যবসা চালাতে সাহায্য করেছেন বেশ কিছু পুলিস অফিসার। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব খাটিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সারদার ব্যবসা যাতে স্বচ্ছন্দে চলে, সেইজন্য রাজ্য পুলিসের বিভিন্ন থানাকে মাসোহারা দেওয়া হতো। তার পরিমাণ ছিল থানা ভেদে ১০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা। যে সমস্ত অফিসার সারদায় জড়িত ছিলেন, তাঁরা এই সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করতেন। দেবযানীর বয়ানে উঠে এসেছে, এই টাকা তাঁর কাছ থেকেই বিভিন্ন সময়ে নিয়ে যাওয়া হতো। এমনকী তিনি দুটি ইনডেক্স করেন। একটি ছিল জমি সংক্রান্ত, অন্যটি টাকার লেনদেন সংক্রান্ত। ঘটনাচক্রে এই দুটির খোঁজ নেই। সিবিআইকে দেবযানী জানিয়েছেন, এগুলি বাজেয়াপ্ত করেছিল সিট। অথচ এখনও সেগুলি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাতে পায়নি। যা থেকে অফিসারদের ব্যাখ্যা, প্রভাবশালী যোগ ও তাঁদের কাছে টাকা যাওয়ার প্রসঙ্গ আড়াল করতেই এগুলি দেওয়া হয়নি। যদিও সিটের বক্তব্য, সেগুলি সবই দেওয়া হয়েছে।