কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি মাধবডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়কামাত গ্রামে অন্নদা রায় (৩৯) নামে এক ব্যক্তি এদিন আত্মঘাতী হন। বাড়ির পাশে রেলের ওভার ব্রিজের নীচে এদিন সকালে তাঁর মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পায় পরিবারের লোকেরা। তিনি কৃষিকাজ করতেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কিছু দিন ধরেই তিনি এনআরসি আতঙ্কে ভীত হয়েছিলেন। জমির কাগজপত্র সংগ্রহ করতে কয়েকদিন ধরেই তিনি সরকারি দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করছিলেন। এনিয়ে মৃতের পরিবার ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগও দায়ের করে।
অন্যদিকে এনআরসির আতঙ্কে কয়েকদিন ধরে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন জয়হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হালিমপুরের বাসিন্দা সোলেমান সরকার(৬০)। সকালে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে এনআরসির তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা করতে করতেই তিনি অসুস্থ হয়ে যান। মৃতের ছোট ছেলে সেলিম সরকার বলেন, বাবা দু’সপ্তাহ ধরে এনআরসি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। জমির পুরনো কাগজপত্র কোথায় খুঁজবেন, নথি সংগ্রহ করতে না পারলে কি হবে এসব চিন্তা করছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে সেই চাপ নিতে না পেরে খাওয়াদাওয়া ছেড়েই দিয়েছিলেন। এনআরসির চিন্তাতেই বাবাকে মরতে হল। এই পরিস্থিতিতে এনআরসি আতঙ্কের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরে ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। বিডিও অফিসে এই ডিজিটাল কার্ড করাতে গিয়ে সানস্ট্রোকে মৃত্যু হয় মন্টু সরকার (৫৫) নামে এক ব্যক্তির। বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশডাঙা এলাকায়। শুক্রবার সকালে হিঙ্গলগঞ্জের কাঁটাখালি গ্রামে এক বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। তৃণমূলের দাবি, ওই বৃদ্ধা এনআরসি আতঙ্কে মারা গিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মোমেনা বেওয়া (৬০)। তাঁর বাড়ি কাঁটাখালি গ্রামেই। এদিন ভোরে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ৯ নম্বর সাণ্ডেল বিল হাসপাতালে ও পরে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এনআরসি আতঙ্কের কারণে ওই বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এসব আতঙ্ক যারা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, এনআরসি আতঙ্ক সৃষ্টি করে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এরজন্য তৃণমূলই দায়ী। ময়নাগুড়ির মৃত ব্যক্তির দাদা বলেন, ভাই অনেক দিন ধরেই জমির দলিল খুঁজে পাচ্ছিল না। ওর ধারণা ছিল নাগরিকত্বের জন্য জমির কাগজের প্রয়োজন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েই ও এমনটা করল। এনআরসির আতঙ্কের বিষয়টি আমরা অভিযোগপত্রে লিখেছি।