রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রাজ্যের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা-সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলছে বিজেপি। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় গেরুয়া শিবিরের ভোট প্রচারের অন্যতম এজেন্ডাই ছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সন্ত্রাস। এমনকী দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের দিন দিল্লিতে উপস্থিত থাকার জন্য নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ‘রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নিহত’ পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের পরিবারের লোকজনকে। দলীয় সূত্রের খবর, যাদবপুর-কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে রিপোর্ট দেবে বঙ্গ বিজেপি, সেখানে এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিশেষ করে উল্লেখ করা হবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রসঙ্গকেই।
এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা সুরেশ পূজারি বলেছেন, ‘একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এভাবে শারীরিক হেনস্তার ঘটনা মোটেও সাধারণ কোনও বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি এই ঘটনা সবিস্তার জেনেওছেন।’ গোটা ঘটনার কড়া নিন্দা করে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। আজ যাদবপুর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপিকে তুলোধনা করেছেন সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। এদিন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে দীপঙ্করবাবু বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, গালিগালাজ করেছেন। এমনকী খোদ রাজ্যপালকে পর্যন্ত ডেকে পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নাকি মাওবাদীরা হেনস্তা করেছে। এরকম প্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়।’ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকালের যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তারা আরও বৃহত্তর বিক্ষোভ আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে।