শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
সিপিএমের উদ্বাস্তু আন্দোলনের সংগঠন ইউসিআরসি’র মূল উদ্যোগে এদিন এনআরসি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকটির আয়োজন করা হয়। ইউসিআরসি’র সঙ্গে আরও অন্তত ছ’টি উদ্বাস্তু সংগঠনের নেতারা হাজির ছিল। নীতীশ বিশ্বাস, সুকৃতি বিশ্বাস, হরিপদ বিশ্বাস, মধু দত্ত প্রমুখ নেতারা সকলেই একসুরে এনআরসি’র তীব্র বিরোধিতায় সরব হন। অসমে এনআরসি’র নামে যেভাবে কয়েক লক্ষ গরিব মানুষকে চরম সঙ্কটে পড়তে হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলায় এই প্রক্রিয়া কোনও অবস্থাতেই তাঁরা চালু করতে দেবেন না বলে জানান। এজন্য ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রচারের মাধ্যমে তাঁরা মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি সংগঠিত করার কাজ শুরু করেছেন বলেও দাবি করেন। তবে সংগঠনগুলির তরফে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে আগত সুজনবাবু সংগঠনগুলির নেতৃত্বের থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ দেন এনআরসি লাগু নিয়ে।
সুজনবাবু বলেন, এনআরসি’র নামে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের ভাগাভাগি করার মতলব করেছিল বিজেপি শাসিত সরকার। সেই আনন্দে অসমে যে গেরুয়া শিবিরের লোকজন একদা ধেই ধেই করে নেচেছিল, এখন তালিকা প্রকাশের পর তারাই এনআরসি চাই না বলে রাস্তায় নেমেছে। ১৯ লাখ বাদ পড়া মানুষের মধ্যে সাড়ে ১১ লাখই হিন্দু ধর্মালম্বী হওয়ায় তাদের চোখ খুলে গিয়েছে। আসলে ভোটের সময় এ নিয়ে একের পর এক ভাঁওতা দিয়ে হিন্দু ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছিল গেরুয়া শিবির। এখন সেটা বাস্তবে টের পাচ্ছে তারা। অসম থেকে এই শিক্ষা নিয়ে বাংলার মানুষকে আমরা তাই আগাম সতর্ক করছি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, বাংলায় কিছুতেই আমরা এনআরসি হতে দেব না। এটা করতে গেলে বাংলাজুড়ে রক্তগঙ্গা বইবে। আমাদের লাশের উপর দিয়ে মোদি-শাহদের বাহিনীকে কোনও বাঙালি নাগরিককে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির হিম্মৎ কতটা আছে, সেটা আমরাও দেখে নিতে চাই। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য এদিনও দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারের পর এনআরসি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর নরম করার অভিযোগে সরব হন। তিনি বলেন, দিনকয়েক আগে বিধানসভায় সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার শক্তিতে শক্তিমান হওয়ার পরও কেন মোদিকে এনআরসি নিয়ে বাংলার মানুষের আতঙ্কের কথা সরাসরি বলতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী, সেটা রীতিমতো আশ্চর্যের এবং রহস্যের। বাংলার মানুষ এর জবাবদিহি ওঁর কাছে অবশ্যই চাইবে।