পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কিন্ত জলপথে পণ্য পরিবহণ পুরোপুরি কার্যকর করা যাবে না, যদি না পর্যাপ্ত সংখ্যক বার্জ পাওয়া যায়। বুধবার মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত আলোচনাসভায় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ (কেওপিটি)-এর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার উপস্থিত ছিলেন। চেম্বারের সভাপতি বিশাল ঝরঝরিয়া বলেন, বার্জ কেনার জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে। বার্জ ‘কোল্যাটারাল’ রেখে ঋণ দিতে ব্যাঙ্কগুলি রাজি নয়। এর কারণ গোয়ায় বার্জ কেনার জন্য ঋণ দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির প্রচুর টাকা গিয়েছে। গোয়ায় লোহা আকরিক তোলার উপর বিধিনিষেধ জারি হওয়ার কারণে বার্জগুলি বসে গিয়েছে। বন্দরের চেয়ারম্যান জানান, এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে তাঁরা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সমস্যা মেটার ব্যপারে তিনি আশাবাদী।
সাহেবগঞ্জে মাল্টি মোডাল টার্মিনালটি চালু হওয়ার আগেই এক নম্বর জাতীয় জলপথ ধরে হলদিয়া-কলকাতা থেকে বারাণসী পর্যন্ত পণ্য পরিবহণ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বারাণসীর মাল্টি মোডাল টার্মিনাল আগেই চালু হয়ে গিয়েছে। বণিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, সাহেবগঞ্জের টার্মিনালটি চালু হওয়ায় হলদিয়া বন্দর থেকে জলপথে নেপালে কয়লা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। সাহেবগঞ্জ পর্যন্ত বার্জে যাওয়ার পর কয়লা রেল পথে নেপাল যাবে। নতুন সিমেন্ট কারখানা চালু হওয়ার জন্য নেপালে কয়লার চাহিদা বেড়েছে। মার্চেন্ট চেম্বারের সভাপতির মতে শুধু নেপালের জন্য আরও প্রায় একশোটি বার্জ প্রয়োজন। এখন সেখানে ৭০টি বার্জ চলছে। আরও পণ্য ওই জলপথে চলবে। তাই একশোরও অনেক বেশি বার্জ দরকার পড়বে।
কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ জলপথে পণ্য পরিবহণে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জলপথ ব্যবহার করে এখান থেকে জলপথে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। ব্রহ্মপুত্র নদীর দুই নম্বর জাতীয় জলপথ এর জন্য ব্যবহার করা হবে। স্বাধীনতার আগে এই জলপথে অসম থেকে চা ও অন্যান্য পণ্য আসা-যাওয়া করত। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে জলপথে পণ্য পরিবহণের জন্য ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তিও হয়েছে। জলপথে পণ্য পরিবহণের সম্প্রসারণের জন্য হুগলির বলাগড়ে একটি টার্মিনাল করা হচ্ছে। কলকাতা-হলদিয়া থেকে জলপথে বলাগড় পর্যন্ত পণ্য চলে যাবে। সেখান থেকে সড়ক পথ ব্যবহার করা হবে। এতে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সড়ক পথের উপর চাপ কমবে। যানজটও নিয়ন্ত্রিত হবে। উপকূলীয় পথে পণ্য পরিবহণ শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ুর কাটুপল্লি বন্দর থেকে কলকাতায় সিমেন্ট ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আসছে। ভবিষ্যতে গাড়ি আসবে। বন্দর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বন্দরে পণ্য পরিবহণের উপর মন্দার কোনও প্রভাব পড়েনি। বছরের এই সময় পণ্য পরিবহণ কম হয়। তা সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় ছয় শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। আগামী দিনে বন্দরে পণ্য পরিবহণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে।