গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পর্ষদ আদালতের নির্দেশ অনুসারে কমবেশি ১৭৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। যা আদালতে পেশও হয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সর্বাগ্রে নিয়োগ করতে হবে। যদিও এই মামলার সূত্র ধরে অন্তত ৫০০ জনের চাকরি পাওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নে গুরুতর ভুল ছিল। যদিও ওই পরীক্ষা সূত্রে পরবর্তীকালে রাজ্যে অন্তত ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নপত্র যাচাই করে জানিয়েছিল, সাতটি প্রশ্ন বা প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরে পূর্ণ অথবা আংশিক ভুল ছিল। আদালত বলেছিল, যে প্রশ্নের সবটাই ভুল, তার জন্য মামলাকারীরা নম্বর পাবেন। যে প্রশ্নে বা তার সম্ভাব্য উত্তরে আংশিক ভুল ছিল, সেখানে যে মামলাকারীরা উত্তর দিয়েছেন, তাঁরাও নম্বর পাবেন। তার ভিত্তিতে মামলাকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর জন্য শিক্ষক নিয়োগের স্বার্থে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। অন্তত ৩০ লক্ষ ছেলেমেয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন। ১৫০ নম্বরের সেই পরীক্ষার পর অভিযোগ ওঠে, অন্তত ১১টি প্রশ্ন ও তার সঙ্গে থাকা মডেল প্রশ্নের উত্তর ঠিক নেই। আদালতের নির্দেশ সূত্রে ১০টি প্রশ্ন সম্পর্কে বিশ্বভারতীর রিপোর্ট আদালতে পেশ হয়। জানা যায়, সাতটি প্রশ্নের উত্তরে ভুল ছিল। সেই সূত্রে উপরোক্ত নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছিল, যদি অন্যান্য যোগ্যতা ঠিক থাকে, তাহলে এই মামলাকারীদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু, নির্দেশ পালিত না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা রুজু হতে এদিন কঠোর অবস্থান নিয়েছে আদালত।