পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রশ্ন হল, কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ জারি করে তার সদস্যপদ খারিজ করা সত্ত্বেও কোন যুক্তিতে ফের ওই সংস্থার শীর্ষপদে আসীন হলেন দিব্যেন্দুবাবু? বুধবার পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তাঁর দাবি, এক, বিষয়টি ডেন্টাল কাউন্সিলের কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত। দুই, দেশের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের আইনি পরামর্শ নিয়েই এই কাজ করা হয়েছে। তিন, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বসীমা যে কোনও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষক চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনওভাবেই কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (ফ্যাকাল্টি) ও সাম্মানিক অধ্যাপকদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। যদিও তার এই দুই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ডিসিআই-এর সদস্যদের একাংশের পাল্টা যুক্তি হল, এক, দেশে ক’টা সরকার চলছে? একই সরকারের নির্দেশ, সেই সরকারের অন্যতম শীর্ষ আইনি ব্যক্তির পরামর্শের জোরে বাতিল হতে পারে? দুই, আর যদি তাই হয়ে থাকে, সেই আইনি পরামর্শ বা তাকে ভিত্তি করে নেওয়া ডিসিআই বা সরকারি নির্দেশ দিব্যেন্দুবাবু জনসমক্ষে আনছেন না কেন?
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই দিব্যেন্দুবাবুর ডিসিআই সদস্যপদ বাতিল করে দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ওইদিন মন্ত্রকের তরফ থেকে ডিসিআই সেক্রেটারি ডাঃ সব্যসাচী সাহাকে এক চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, ৯ জুলাই দিব্যেন্দুবাবুর বয়স ৬৫ হয়েছে। এমডিএস পাঠ্যক্রমের নিয়মকানুন (১৭ডি ধারা ৭) অনুযায়ী, দন্ত চিকিৎসার শিক্ষক, ডিন বা অধ্যক্ষ হিসেবে সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করা বা পুনর্নিযুক্ত হওয়া সম্ভব। তারপর আর দন্ত চিকিৎসার শিক্ষক থাকতে পারেন না তিনি। আর শিক্ষকই না থাকলে, কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোনীত হয়ে ডিসিআই সদস্যও থাকা সম্ভব নয়। সরকারি এই চিঠি’র ফলে ডিসিআই সভাপতিও হিসেবে দিব্যেন্দুবাবুর না থাকারই কথা। কারণ, কাউন্সিলের সদস্যই না থাকলে সভাপতি পদে থাকারও প্রশ্ন আসে না। প্রসঙ্গত, দেশের ৩১৩টি ডেন্টাল কলেজ এবং বিডিএস, এমডিএস মিলিয়ে ৩৬ হাজার ডেন্টাল আসনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিআই-এর শীর্ষ পদে রয়েছেন দিব্যেন্দুবাবু।